চরভদ্রাসনে পদ্মা এক রাতে মেইন সড়কের পাশে;৭বসতবাড়ি উধাও ! - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Sunday, July 15, 2018

চরভদ্রাসনে পদ্মা এক রাতে মেইন সড়কের পাশে;৭বসতবাড়ি উধাও !

নাজমুল হাসান নিরব,স্টাফ রিপোর্টার-
ফরিদপুর চরভদ্রাসন এলাকায় পদ্মা ভাঙনের যেন শেষ নেই।গত এক-দের মাস যাবৎ চরভদ্রাসনের মানুষের চেখে কোন ঘুম নেই।গত একমাস যাবৎ থেমে থেমে চরভদ্রাসনের এমপি ডাংগি মেইন সড়কের এলাকা,ফাজিল খার ডাংগী শেষ মাথা,বালিয়া ডাংগীর বেরিবাধ সংলগ্ন এলাকা ভাঙনের কবলেডুবে আছে।গত কয়েকদিন আগে এমপি ডাংগী মেইন সড়ক রক্ষায় দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং কাজ শুরু হয়।কিন্তু তারপর শুরু হয় ফাজিলখার ডাংগী ও বালিয়া ডাংগী ভাঙন। ভাঙন প্রতিরোধে স্থানিয় এমপি ও আওয়ামীলীগ নেতা বিভিন্ন আশ্বাস দেয়।
গত দুইদিন ভাঙন একটু দমে থাকলেও গতকাল ভোর ৪টার দিকে কড়াল স্রোতের আঘাতে আঘাতে একে একে এমপি ডাংগী মেইন সড়ক এলাকার ৭ বসতবাড়ি ভেঙে যায়।এতে পদ্মা মেইন সড়কের খুব সন্নিকটে চলে যায়।পদ্মার পানি মেইন রাস্তাকে ছুয়ে ফেলে।ভাঙনের এক প্রান্তে জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে।কিন্তু অন্ন প্রান্ত যেন প্রান্তই নেই।
ভাঙন কবলিতরা হলেন,সেক রহিম বাদশা,শেক সোহরাব,সেক আলমগীর,সেক আলাউদ্দিন,সেক ছালাম,সেক মুনছুর,আব্দুল মুনছুর মাষ্টার।এ সময় স্থানিয় একাধিক ব্যাক্তি জানান, ভাঙনের ভয়ে আমরা আজ দুই মাস যাবৎ রাতে  ঘুমাতে পারিনা,কই যামু কি করমু এই টেনশনে রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।ভাঙনের বর্ণনা দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা বলেন,ভোর রাত্রে সাধারনত নদী শান্ত থাকে তাই একটু চোখ বুঝছিলাম,হঠাৎ চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনে উঠে দেখি বাড়ির পিছনের বাশ বাগান উধাও ।এভাবে একে একে গাছ গাছালি ও ঘড় বাড়ি ভেঙে যায়। স্থানিয়  সেক সোহরাবের পুত্র সেক ওমর জানান,পদ্মা মনে হয়না এবার থামবো। বাধ দিতে দিতে ভাইঙে সব শেষ হয়ে যাইব।
এদিকে ভাঙনের একদম মুখে পড়েছে রাস্তার ওপাড় অবস্থিত এমপি ডাংগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আল মাদ্রাসা আল ফারুকিয়া মাদ্রাসা।এক রাত্রে প্রায় দের বিঘা জমি পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।স্থানীয় অভিজ্ঞ ও মুরুব্বিরা জানান,“এভাবে ভাঙতে থাকলে চরভদ্রাসন থাকবে না” ।
তব্ েএ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন বা পনি উন্নয়ন বোর্ড এখনও চুরান্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি।মুষ্টিমেয় কিছু জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।কাজের ধারা ও গতি না বাড়ালে ভাঙনের রোধ হবে না মনে করেন এলকাবাসী।

No comments: