নাটোর-৪ আসন নির্বাচনে ভোটের ভিক্ষায় দ্বারে ঘুরছে রাকসু সাবেক সভাপতি

নাহিদ হোসেন নাটোর প্রতিনিধি-সারাদেশে এখন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হাওয়া বই শুরু করেছে। সেই হাওয়ায় ভাসছে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। তবে নির্বাচনী এলাকা যদি হয় নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসন এলাকা তাহলে তো নির্বাচনী ইমেজ একটু আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক। কারন এই আসনটি আওয়ামীলীগের দূর্গ বলে পরিচিত লাভ করেছে অনেক আগেই। 

এই দুর্গেই এবার নতুন মুখের হীরিক পরেছে। এ আসনের অধিকাংশ ভোটার চাইছেন দলের ত্যাগী ও তরুন নেতৃত্ব। সে কারনেই প্রার্থীগণ সাধারণ জনগনের ইচ্ছা পূরণ করতে আওয়ামীলীগের মনোয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তরুনদের প্রথম সাড়ির সাবেক ছাত্রনেতা আহম্মদ আলী মোল্লা সবার থেকে ব্যতিক্রম। তিনি যেমন মনোয়ন পেতে দলের হাইকমান্ডে যোগাযোগ স্থাপন করছেন। তেমনি মনোয়ন এক প্রকার নিশ্চিত জেনেই ভোটারদরে দ্বারে দ্বারে আওয়ামীলীগের উন্নয়নের খবর পৌছে দিচ্ছেন। সরকারের উন্নয়নের বিভিন্ন লিফলেট দিয়ে ভোটারদের কাছে নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন। কারণ তিনি জানেন শুধু মনোয়ন পেলেই হবে না। ভোটারদরে ভোট নিয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভরসার প্রতিদানও দিতে হবে। শুধু তাই নয় শেখ হাসিনার উন্নয়ন চিত্র জনগনের মাঝে তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি নির্বাচিত হলে বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর বাসীর জন্য বিভিন্ন প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন। জাতীর জনক কন্যা শেখ হাসিনার অত্যান্ত আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির  সাবেক সহ-সম্পাদক হিসেবে সফলভাবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। সেই লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনে তিনি মনোয়ন প্রত্যাশা করে জনসংযোগ  চালিয়ে যাচ্ছেন। সভা সেমিনারে উপস্থিত থেকে ও বিভিন্ন পথসভায় বক্তব্য দিয়ে সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি খুব কাছ থেকে  আহম্মদ আলী ভাইকে দেখেছি। উনি অনেক মেধাবী ও চৌকস ছাত্রনেতা ছিলেন। দলের দুর্দিনে ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় শাখার সংগঠিত করেছেন। এজন্য অনেকবার বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রদল ও শিবির ক্যাডারদের রোসানলে পরেছেন। কিন্তু তিনি শিবিড় ক্যাডারদের ভয়ে দমে থাকেননি, কখনো পিছনে ফিরে যাননি। শুধু তাই নয় নাটোর তথা উত্তর বঙ্গের অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থীদের তিনি আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন। দরিদ্র ও অসহায় ছাত্রলীগ নেতাদের সাহায্য করেছেন। এখনো বড়াইগ্রাম গুরুদাসপুরের অসহায় মানুষদের সাহায্যের পাশাপাশি দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন।