মহুয়া জান্নাত মনি,রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:দেশের মুক্তিকামী সমবায়ীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনের দৃঢ় প্রত্যয়ে “সমবায় ভিত্তিক সমাজ গড়ি, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করি” এই প্রতিপাদ্যে সারা দেশের ন্যায় রোববার সকালে রাঙ্গামাটিতে ৪৭ তম জাতীয় সমবায় দিবসের র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা সমবায় কার্যালয়ের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলন শেষে ফেস্টুন উড়িয়ে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সকলে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যন বৃষ কেতু চাকমা। জেলা পরিষদ সদস্য ও সমবায় বিভাগের আহবায়ক ত্রিদীব কান্তি দাশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় রাঙ্গামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা’সহ সমবায় কর্মকর্তাগণ এ সময় বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙ্গামাটি জেলা সমবায় কর্মকর্তা ইউছুফ হাসান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যন বৃষ কেতু চাকমা বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। সরকার একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের প্রচেষ্টা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। টেকসই উন্নয়নকে সুনিশ্চিত করতে হলে পণ্য-সামগ্রী উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সমবায়ের আদর্শ ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে সমবায়কে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তিনি গ্রামে গ্রামে বহুমুখী সমবায় সমিতি গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। সেই স্বপ্ন পূরণে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।