৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্ত দিবস - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Wednesday, December 05, 2018

৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্ত দিবস

মেহের আমজাদ,মেহেরপুর -আজ ৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী খ্যাত মেহেরপুর পাক হানাদার মুক্ত হয়।

 বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলায় একে একে ভেঙ্গে পড়ে পাক হানাদারদের শক্তিশালী সামরিক বলয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে ৫ ডিসেম্বর রাত থেকে পাক বাহিনী গোপনে মেহেরপুর ছেড়ে পালাতে থাকে। ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তি বাহিনী মেহেরপুর শহরে প্রবেশ করলে অবরুদ্ধ জনতা মুক্তি বাহিনীর সাথে জয়ের উল্ল¬¬াসে যোগ দেয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে র‌্যালি,শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীনতার সুতিকাগার মুজিবনগর তথা মেহেরপুরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তৎকালীন এসডিও তৌফিক এলাহী চৌধূরীর সক্রিয় ভূমিকায় ছাত্র, আনসার-মুজাহিদদের নিয়ে মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলা হয়। ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তি বাহিনী মেহেরপুর প্রবেশ করে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। পাক বাহিনীর হাত থেকে মেহেরপুরকে মুক্ত করতে চারদিক থেকে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে মুক্তি বাহিনী। 
মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আতাউল হাকিম লাল মিয়া বলেন, যুদ্ধকালীন সময় পাকহানাদার বাহিনী অনেক নারী-পুরুষ সহ সাধারণ মানুষদের ভকেশনাল,মেহেরপুর সরকারী কলেজের পিছন, তাহের ক্লিনিক পাড়া সহ বিভিন্ন সেলে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মম ও অকথ্যভাবে নির্যাতন চালাতো। ৫ ডিসেম্বর রাতে পাক হানাদারবাহিনী চলে যাবার সময় মেহেরপুর শহরের ওয়াপদা, মেহেরপুরের আমঝুপি ব্রীজ, দ্বিনদত্তের ব্রীজ সহ এ জেলার গুরত্বপূর্ন স্থাপনাগুলো ধ্বংশ করে দেয়। ৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্ত হয়। আমরা হুংকার দিয়ে মেহেরপুরে প্রবেশ করি। আকাশে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আনন্দ করি। মেহেরপুরে প্রবেশ করার পর আনন্দ বিষাদে পরিণত হয় অসংখ্য বধ্যভূমি ও লাশ দেখে। তবে স্বাধীনতার সেই অপার আনন্দ অতুলনীয়। 
মেহেরপুর জেলায় ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনি দ্বারা নিহত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গনকবরগুলোর স্থানে স্মৃতি সৌধ নির্মানের দাবী করে জেলা আওয়মীলীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম বলেন, আগামী প্রজন্ম যাতে করে জানতে পারে এবং বুঝতে পারে এই স্মৃতিসৌধগুলোর মর্মকথা। যে কারনে গনকবরগুলোর স্থানে স্মৃতি সৌধ নির্মানসহ সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করার দাবী জানান।
মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমন্ডার বশির আহম্মেদ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধগুলো সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও গনকবর সংরক্ষণের দাবী জানান। এ ছাড়াও তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই শেষে সঠিক তালিকা প্রকাশের দাবি করেন সাবেক এ জেলা কমান্ডা

No comments: