মহুয়া জান্নাত মনি,রাঙামাটি প্রতিনিধি:দেশে মিঠাপানির মাছের অন্যতম উৎস এশিয়া বিখ্যাত কাপ্তাই হ্রদে খাচায় মাছ চাষ করা গেলে এই হ্রদ থেকে শতকরা ২৫ ভাগ মাছ উৎপাদন সম্ভব হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই কাপ্তাই হ্রদ, পুকুর, ক্রীক জাতীয় খাচায় মাছ চাষ করা হলে মাছের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
রোববার দুপুরে কাপ্তাই হ্রদ এলাকার পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।রাঙামাটি মৎস্য অফিসের সম্মেলন কক্ষে আসসালাম এগ্রো টেক লিমিটেড এর আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপক কমান্ডার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, রাঙামাটি জেলা বন সংরক্ষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারী, বিএফডিসি’র উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আজহার আলী, আসসালাম এগ্রো টেক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আতিকুর রহমান রাহাত।
কাপ্তাই হ্রদ এলাকার পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষিবিদ মোঃ মাসুদ হাসান।প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেন, কাপ্তাই হ্রদে উৎপাদিত মাছ সারা দেশে যায়। কিন্তু নানা কারণে হ্রদে মাছের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। হ্রদের নাব্যতা হারানো, অবৈধ উপায়ে মাছ শিকার, মানুষের বর্জ্যে লেক দূষিত হওয়া এর মূল কারণ। এ তিন বিষয়ে দ্রুত করণীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে হ্রদের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, কাপ্তাই হ্রদ কেবল বাংলাদেশের প্রধান মাছ উৎপাদন ক্ষেত্র নয়, এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলরাশি। কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির ফলে মাছ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন, নৌ-পরিবহনসহ বিভিন্ন সুবিধা গড়ে উঠেছে। কাপ্তাই হ্রদ জাতীয় সম্পদ। এটিকে রক্ষার জন্য সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
No comments:
Post a Comment