বেলকুচিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বসতভিটা ভাংচুর ও লুটপাট ! - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Saturday, June 15, 2019

বেলকুচিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বসতভিটা ভাংচুর ও লুটপাট !


উজ্জ্বল অধিকারী, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: -
-সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রম্যশালিস মিমাংসার পর মানিক কষাইয়ের নেতৃত্বে এমদাদুল মন্ডল নামের এক জনের বসতভিটা ভাংচুর, লুটপাতের ঘটনা ঘটেছে। ঐ ঘটনায় ১ জন গুরুতর সহ ৩ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সকালে এ ঘটনাটি বেলকুচি উপজেলা বড়ধূল ইউনিয়নের গাছচাপড়ি গ্রামে ঘটে।  এ ঘটনায় রমজান আলী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।

আহতরা হলেন, এমদাদুলের ভাতিজী হাসিনা খাতুন (২৬), এমদাদুল মন্ডল (৫০) ও তার মেয়ে হালিমা খাতুন (১৯)। এদের মধ্য গুরতর আহত হাসিনা খাতুন বেলকুচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে।

মানিক কষাই (৪৮) একই গ্রামের মৃত জামাল কষাইয়ের ছেলে। উক্ত গ্রাম্যশালিসে বড়ধুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের উদ্দিন মোল্লা, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরকার সহ একাধিক ইউপি সদস্য ও গ্রাম প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। 

স্থানিয়রা জানান, বড়ধুর ইউনিয়নের আলহাজ্ব মজিরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্বিতল ভবনে গ্রাম্যশালিশ মিমাংসার পর মানিক কসাইয়ের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন এসে গাছচাপড়ির গ্রামের মৃত মওলা মন্ডলের ছেলে এমদাদুর মমন্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৫ ভড়ি স্বর্ণালংকার, নগদ ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও ৩ জনকে আহত করে পালিয়ে যায়। 

বাদী রমজান মন্ডল বলেন, ছোট ভাইকে নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছিল। সে বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য সহ গ্রামপ্রধানদের মাধ্যমে শালিস মিমাংসা হয়। মিমাংসার পর অতর্কিত ভাবে মুত জামাল কষাইয়ের ছেলে মানিক কষাইয়ের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমার চাচা ও ছোট দুই বোনকে আহত করে। এসময় ঘরে রক্ষিত ৫ ভরি স্বর্ণের গহনা ও ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। 

ইউপি চেয়ারম্যান আছের উদ্দিন মোল্লা এই প্রতিবেদককে বলেন, হারেজ মন্ডলের ছেলের সাথে মানিকের মেয়ের সম্পর্ক হয়েছে বলে তাদের সন্দেহ হয়। সন্দেহের এক পর্যায়ে তাদের মধ্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এ বিষয় নিয়ে আমরা মিমাংসা করে দেই। আমরা উক্ত শালিস বৈঠরে অবস্থান নেয়া অবস্থায় জানতে পারলাম মানিকের লোকজন। এমদাদের বাড়ীতে হামলা চালিয়েছে। তবে কাজটা মোটেও ভালো করেনি। 

বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা দেয়া হবে।



No comments: