সময় সংবাদ ডেস্ক//
ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে জুয়াড়িদের কাছে পরিচিত ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রের বরাতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইসমাইল হোসেন সম্রাট সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করতেন ৩টি ক্যাসিনো। এগুলো হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব, ব্রাদার্স ক্লাব ও বনানী এলাকার গোল্ডেন ঢাকা। এছাড়া মতিঝিল এলাকার ফুটবল ক্লাব, আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব, সোনালী অতীত, দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব, আরামবাগ ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ ছিল সম্রাটের হাতে।
এদিকে চলমান অভিযানের কয়েকদিন পর থেকেই সম্রাটের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। সম্রাট কোথায় এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না কেউই।
তবে শুক্রবার সম্রাট সম্পর্কে কথা বলেছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি)। তিনি বলেন, সম্রাট কোথায় খুব শিগগিরই জানা যাবে। এসময় সম্রাটের অবস্থান নিয়ে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে পুলিশ বলেছে, যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে আছেন। তাকে গ্রেফতারের কাজ করছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
তাছাড়া সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি পুলিশ সদরদপ্তরের এ সংক্রান্ত একটি আদেশ দেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে দায়িত্বরত ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে।
কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, সম্রাট গ্রেফতার কিনা তা শিগগিরই জানা যাবে।
অযথা যেন কাউকে হয়রানি না করা হয় সে জন্য চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের দায়িত্ব র্যাবকেই দেয়া হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।