সময় সংবাদ ডেস্ক//
ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় যুবলীগের সদ্য পদচ্যুত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এই আরমান একসময়ে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে লাগেজ বিক্রি করতেন। এরপর ক্যাসিনো ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
রোববার (০৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে যুবলীগের এই নেতাকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর নানা চাঞ্চলকর তথ্য উঠে আসছে।
আরমানের পুরো নাম এনামুল হক আরমান। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ক্যাসিনো ব্যবসায়ের অন্যতম হোতা। আরমান সম্রাটের ক্যাসিনোর টাকার ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত হলেও মূলত তার মাধ্যমেই ক্যাসিনোজগতে প্রবেশ সম্রাটের। তাই ক্যাসিনো ব্যবসায় আরমানকেই গুরু বলে মানেন সম্রাট।
জানা গেছে, আরমানের উত্থান ঘটে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকা থেকে। পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুর থেকে লাগেজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য এনে বায়তুল মোকাররমে বিক্রি করতেন তিনি। একসময় এই আরমান দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিকটাত্মীয় ‘বাউন্ডারি ইকবাল’ হিসেবে পরিচিত ইকবাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তার মাধ্যমে হওয়া ভবনঘনিষ্ঠ হন আরমান, শামিল হন বিএনপির রাজনীতিতে। তবে দলীয় কোনো পদ-পদবি না থাকলেও হাওয়া ভবন ঘনিষ্ঠ বলে মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন তিনি। বিএনপির আমলে থেকেই আরমান ফকিরেরপুলের কয়েকটি ক্লাবের জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। এরপর বিএনপি ক্ষমতাচ্যুত হলে যুবলীগের মিছিলে হাজির হতে শুরু করেন আরমান, ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন সম্রাটের। সম্রাট ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি হলে সহ-সভাপতি করা হয় আরমানকে।
আরমান একসময় সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় লাগেজ আনার ব্যবসা করতেন। সে সুবাদে সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনো ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারেন আরমান। পরবর্তীতে সম্রাটকে এই লাভজনক ব্যবসার ধারণা দেন তিনি। সম্রাটের ঘনিষ্ঠ একাধিক যুবলীগ নেতা জানিয়েছেন, এই আরমান নিজের টাকা দিয়ে প্রথমে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম কিনে আনেন ঢাকায়।