সম্রাটকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন জিসান-খালেদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, অক্টোবর ০৬, ২০১৯

সম্রাটকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন জিসান-খালেদ

সময় সংবাদ অনলাইন ডেস্ক//
ক্যাসিনো ব্যবসা নিয়ে বিতর্কিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করেছে আনইশৃঙ্খলা বাহিনী।

রোববার ভোর ৫টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১ এর একটি বিশেষ দল।

ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের পর আলোচনায় আসে শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের নাম। তার পুরো নাম জিসান আহমেদ মন্টি। বর্তমানে দুবাইয়ে বসবাস করছেন তিনি।

জিসানের সঙ্গে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়।

জানা গেছে, এ শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার যুবলীগ নেতা খালেদ মিলে সম্রাটকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। দুবাইয়ের একটি বৈঠকে তারা যুবলীগ নেতা সম্রাটকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

ক্যাসিনোসহ ঠিকাদারি ব্যবসায় সম্রাটের বিপুল পরিমাণ চাঁদাবাজির একটা বিরাট অংশের প্রতি টার্গেট ছিল বিদেশে আত্মগোপন করা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের। এদের মধ্যে দুবাইয়ে আত্মগোপন করা জিসান, রনি এবং ভারতে আত্মগোপন করা শাহাদত, আশিকের নাম ছিল তালিকার শীর্ষে।

রাজধানীর বাড্ডা, মতিঝিল, মালিবাগ, শাহজাহানপুর, মগবাজার ও খিলগাঁও এলাকার চাঁদাবাজির একটি বড়ো অংশ জিসানের কাছে পৌঁছে যেত। ধীরে ধীরে জিসান হাত বাড়ান সম্রাটের চাঁদাবাজির সাম্রাজ্যের দিকে। মাসে ১০ লাখ টাকার পরিবর্তে চাঁদার অঙ্ক পৌঁছে যায় ১০ কোটি টাকায়। এ নিয়ে জিসানের সঙ্গে সম্রাটের বহুবার কথোপকথন হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের আগে সিঙ্গাপুরে ম্যারিনা বে স্যান্ডস হোটেলে জিসানের সঙ্গে সম্রাট ও খালেদের বৈঠক হয়। সেখানে সম্রাটের কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন জিসান।

সম্রাট জানান, তিনি এখন রাজধানীর ডন। তিনি কাউকে চাঁদা দিতে পারবেন না। এমনকি মাসের ১০ লাখ টাকা চাঁদা পাঠানোও বন্ধ করে দেন সম্রাট। এ নিয়ে জিসান হাত মেলান খালেদের সঙ্গে।

গত এপ্রিলে দুবাইয়ে জিসান-খালেদ বৈঠক হয়। সেখানে সম্রাটকে হত্যা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বান্দরবান থেকে খালেদ পাঁচটি একে-২২ রাইফেল ঢাকায় আনেন।

এগুলোর মধ্যে গত ৩০ জুন সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা ও খিলগাঁও থেকে দুটি একে-২২ রাইফেল উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত চারজনের কাছ থেকে ডিবি জানতে পারে যে চাঁদাবাজির আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য জিসান-খালেদের নির্দেশে তারা এসব একে-২২ রাইফেল ঢাকায় এনেছিল।

হত্যার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার আগেই সম্রাট বিষয়টি টের পান। এরপর থেকে সম্রাট ও খালেদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে।

সম্রাট তার চলাফেরায় অনেকটা গোপনীয়তা নিয়ে আসেন। তাকে বহন করা গাড়ির আগে ও পেছনে অন্তত ছয়টি গাড়িতে ক্যাডার নিয়োজিত করা হয়। এসব ক্যাডারের কাছে ২০-২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে খালেদ গোয়েন্দা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। এমনকি বিশ্বস্ত কেউ না হলে তার সঙ্গে সাক্ষাতও বন্ধ করে দেন সম্রাট।

এদিকে অসামাজিক কার্যকলাপ ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও সহ সভাপতি আরমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গো নিউজ২৪/আই

Post Top Ad

Responsive Ads Here