এ,কে এম গিয়াসউদ্দিন [ভোলা]ঃ
ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী দাবে লবন বিক্রির দায়ে ১৫ ব্যবসায়ীর জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা প্রদান করা হয়।
এসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাউকে বিভ্রান্ত না হতে মাইকিং করা হয়।
সদর উপজেলার সহকারি কমিশানর (ভূমি) মো. কাওছার হোসেনের নেতৃত্বে ভোলা শহরে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী মো. হাসানকে ৫ হাজার টাকা ও হরি বনিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ এর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দৌলতখান বাজার, মিয়ারহাট ও নুরু মিয়ারহাট বাজারে অভিযান চালিয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রির দায়ে ৬ ব্যবসায়ীকে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় অতিরিক্ত লবণ মজুদ ও পরিবহনের দায়ে দৌলতখান বাজারের মা স্টোর থেকে প্রায় ৩০০ কেজি লবণ জব্দ করে দোকানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে লালমোহন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বেশি দামে লবন বিক্রির দায়ে মেসার্স জিহাদ স্টোর, জান্নাত স্টোর, রাধিয়া স্টোর ও মা স্টোরকে মোট ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে চরফ্যাশন বাজারের ব্যবসায়ী মো. বাবুল, মো. সেলিম ও মো. আলমগীরকে মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দুলার হাট থানার পুলিশের মাইকিং ও তৎপরতায় অসাধু ব্যবসায়ী সোচ্ছার হয়েছেন।
অপরদিকে জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, লবন চাষীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সরকারের সার্বিক সহযোগিতার ফলে লবন উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে লবন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার (১৬.৫৭ লক্ষ মে.টন) চেয়ে বেশী রেকর্ড পরিমান অর্থাৎ ১৮.২৪ লক্ষ মে. টন লবন উৎপাদিত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ নভেম্বর ২০১৯ইং তারিখ পর্যন্ত দেশে মজুদ লবনের পরিমাণ ৬.৫০ লক্ষ মে.টন। এছাড়াও চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থ-বছরে লবণ মৌসুমে লবন চাষীরা লবন চাষ শুরু করেছেন। বর্তমানে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ লবন মজুদ রয়েছে। তথাপিও একটি মহল লবন ঘাটতি সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। এ ধরনের কোনো তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য ভোলার সর্বসাধারণকে অনুরোধ করেন তিনি।