বিতর্কিত স্থান মন্দিরের, মসজিদের জন্য পৃথক জমি - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, নভেম্বর ১১, ২০১৯

বিতর্কিত স্থান মন্দিরের, মসজিদের জন্য পৃথক জমি

সময় সংবাদ ডেস্ক//
বহুল আলোচিত বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা করেছে ভারতীয় সর্বোচ্চ আদালত।রায়ে শর্ত সাপেক্ষে বাবরি মসজিদের বিতর্কিত জমি পেয়েছে হিন্দুরা। ফলে সেখানে রামমন্দির নির্মাণ করতে পারবে তারা।আর মুসলমানদের জন্য নতুন একটি মসজিদ নির্মাণে আলাদা জমি বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রায়ে বলা হয়েছে, কোনও ফাঁকা স্থানে এই মসজিদ নির্মিত হয়নি। পুরাতাত্ত্বিক খননে পাওয়া নিদর্শন অনুযায়ী সেখানে অনৈসলামিক উপাদান পাওয়া গেছে। তবে সেই উপাদানগুলো যে রামমন্দিরের তা নিশ্চিত নয়। 

স্থানীয় সময় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মামলার রায় দিতে শুরু করেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। 

এ রায় ঘোষণাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২০ অক্টোবর থেকে অযোধ্যা শহরে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। রোববার থেকে শহরে জারি হচ্ছে কারফিউ।

দীর্ঘ শুনানির পর ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল বাবরি মসজিদের ভূমি তিন ভাগে ভাগ করে বণ্টনের আদেশ দেয়। আদালতের নির্দেশনায় মুসলিম ওয়াকফ বোর্ড, নিরমাজি আখড়া আর রামনালা পার্টিকে সেখানকার ২ দশমিক ৭ একর জমি সমানভাগে ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। হিন্দু-মুসলিম দুই পক্ষই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেছিল। শুনানি চলেছিল লাগাতার ৪০ দিন। শুনানির শেষে রায় সংরক্ষিত করে রাখে শীর্ষ আদালত। আজ এ রায় দিয়েই অবসরে চলে যাবেন প্রধান বিচারপতি।

শনিবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় ঘোষণার এক পর্যায়ে বলেছেন,  হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এখানেই রামের জন্মভূমি ছিল। তবে কারও বিশ্বাস যেন অন্যের অধিকার না হরণ করে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই)  খননের ফলে যে সব জিনিসপত্র পাওয়া গেছে,  তাতে স্পষ্ট যে সেগুলি অনৈসলামিক। তবে এএসআই এ কথা বলেনি, যে তার নীচে মন্দিরই ছিল। 

রায়ে প্রধান বিচারপতি  বলেছেন, বাবরের সহযোগী মির বাকি মসজিদ তৈরি করেছিলেন, তবে কবে মসজিদ তৈরি হয়েছিল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে কট্টরপন্থী মৌলবাদী হিন্দুরা বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার পর হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় কমবেশি ২০০০ লোক নিহত হয়েছিল।

Post Top Ad

Responsive Ads Here