ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের পদ্মা তীরবর্তী সিএন্ডবি ঘাট এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ০৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের পাঁচজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের আহŸায়ক মিন্টু ফকির ও কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক আবু ফকিরের সমর্থকদের মধ্যকার একটি সালিশ বৈঠক শেষে গতকাল বুধবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় এলাকায় আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পৌছলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। উভয় পক্ষের তরফ হতেই মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে হাসপাতালে আহতদের দেখতে গেলে মিন্টু ফকিরের সমর্থক হেলাল বেপারীর উপর প্রতিপক্ষ হামলা চালায় বলে জানাগেছে।
জানা গেছে, ডিক্রিরচরের গোলডাঙ্গির খালে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধায় ডিক্রিরচর ইউনিয়ন অফিসের গ্রম আদালতে সালিশের আয়োজন করা হয়। সেখানে মিন্টু ফকির ও আবু ফকিরসহ তাদের সমর্থকেরা উপস্থিত হন। হাশেম ফকির নামে মিন্টু ফকিরের এক সমর্থক ওই খালে মাছ চাষ করতেন। ওই খালে হাশেমের বোয়ালসহ আরো কিছু মাছের চাষ রয়েছে। এবছর সেখানে আবু ফকিরের সমর্থক ফরহাদ মোল্যা সেখানে মাছ চাষ করতে গেলে উত্তেজনার সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফকির সালিশের একপর্যায়ে হাশেম ফকিরকে তার মাছ মেরে নিয়ে ফরহাদকে খাল ছেড়ে দেয়ার জন্য বলে সালিশের সিদ্ধান্ত দেন। এরপর এ সিদ্ধান্ত নিয়ে উভয় পক্ষের দু’জন সমর্থক আলমগীর ও সাব্বির পরস্পর কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর কিছুক্ষণ পর প্রায় ৫০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গ্রাম আদালতে মিন্টু ফকিরের লোকজনদের উপড়ে হকিষ্টিক, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহকারে হামলা চালায়। এরপ মিন্টু ফকিরের সমর্থকেরাও পাল্টা হামলা করে। এতে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা আহন হন।
প্রায় আধঘন্টাব্যাপী এ অবস্থা চলার পর খবর পেয়ে সেখানে এখন নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেটসহ পুলিশ পৌছে। তবে খবর লেখা পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। থানায় কোন এজাহারও দাখিল হয়নি।
এব্যাপারে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। উভয় পক্ষকেই যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি থেকে নিবৃত্ত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষ হতেই থানায় লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।