বোয়ালমারীতে ফসল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত -৩ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Saturday, December 07, 2019

বোয়ালমারীতে ফসল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত -৩


বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কোন্দারদিয়া ও ভাটদি দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে জমির ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৩জন। আহতদের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এলাকা সূত্রে জানা যায়, কোন্দারদিয়া মাঠে বড়বিল নামক বিলে কোন্দারদিয়া গ্রামের রব খান জমিতে ধান বোনায়। কয়েকটি ধান পাশের জমিতে পড়ে বড় হয়ে ধান পেকে যায়। পাশের জমিতে কোন ফসল ছিল না। গত ১০ দিন আগে রব খান নিজের জমির ধান কাটার সময় পাশের জমি থেকে ওই ৬-৭টি ধানের গাছ কেটে নিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে রব খান জমিতে গেলে পাশের জমির মালিক ভাটদি গ্রামের মুনছুর মাতুব্বর গিয়ে বলে আমার জমির ধান কেটে কেন নিয়েছো। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায় রব খানকে মুনছুর তার ভাই ইউনুচ, ছেলে রবিউল মারধর করে। রব খানের ছেলে লিয়াকত খান এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে। এ ঘটনায় দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় রব খান (৫৫), লিয়াকত খান (২৫) রামদার কোপে আহত হয়। অপর পক্ষের মুনছুর মাতুব্বর (৫৬) আহত হয়। রব খান ও লিয়াকতকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো ও মুনছুরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই রব খানের স্ত্রী রাশিদা বেগম বাদি হয়ে মুনছুর, রবিউল, ইউনিুচের নাম উল্লেখ ও আরও ১৫-২০জন অজ্ঞাত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

রব খানের পক্ষের আশরাফ আলী বলেন, মুনছুর মাতুব্বরের জমিতে কোন ফসল ছিল না। রব খান তার জমিতে ধান বোনানোর সময় মুনছুরের জমিতে কয়েকটি ধান গিয়ে ছিল। সেই ধান পেকে যাওয়ায় কে বা কারা কেটে নিয়েছে। সেই সূত্রে ধরে মুনছুর তার লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে এলোপাথারী কুপিয়ে আহত করে।
    
মুনছুর মাতুব্বরের পক্ষের ভাটদি গ্রামের কুদ্দুস মাতুব্বর বলেন, ধান কাটা নিয়ে মারামারি হয়েছে। এতে দুই পক্ষের লোকজনই আহত হয়েছে। 
 
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার এসআই পলাশ বলেন, অভিযোগ পেয়ে শনিবার ঘটনাস্থালে গিয়ে তদন্ত করেছি। জমির ধান কাটা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। মামলা প্রক্রিধীন রয়েছে।

No comments: