ঝিনাইদহে ইছামতি নদী দখল করে মাছ চাষ করছেন আ’লীগ নেতার ছেলে - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শুক্রবার, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯

ঝিনাইদহে ইছামতি নদী দখল করে মাছ চাষ করছেন আ’লীগ নেতার ছেলে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভারত সীমান্ত ঘেষা নদীতে বাঁধ নির্মান করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এতে এলাকার মানুষ মাছ ধরা থেকে শুরু করে নানা কাজে পানি ব্যবহার করতে পারছেন না। নদীতে হঠাৎ করে শরিফুল ইসলাম নামে এক আওয়ামীলীগ কর্মী বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছেন।

স্থানিয়রা বলছেন, বছরের পর বছর এই নদীর সরকারি জায়গা জনসাধারণের জন্য উন্মক্ত ছিল। গ্রামের মানুষ নদীর পানিতে গোসল থেকে শুরু করে বাচ্চারা খেলাধুলা করতো। এখন বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার কারনে কাউকে সেখানে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। নদীর পানিতে গোসল করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলেদের মাছ ধরার কোন সুযোগ নেই। শ্রীনাথপুর গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, শ্রীনাথপুর গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে আওয়ামীলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম গত ১০ দিন হলো হঠাৎ করে ওই নদীর মাঠপাড়া ও হালদারপাড়া এলাকায় দুইটি বাঁধ দেন। মাঝে আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ বিঘা জলাকার এই বাঁধ দিয়ে আটকে ফেলেন। আর এক সপ্তাহ হলো সেই আটকে ফেলা জলাশয়ে তিনি মাছ ছেড়েছেন। হালদারপাড়ার সাধন হালদার জানান, তারা প্রায় ১৭ টি পরিবারে শতাধিক মানুষ এই নদীর পাড়েই বসবাস করেন। এছাড়াও গ্রামে আরো হালদার সম্প্রদায় রয়েছে।

যারা এই নদীতে মাছ ধরে বিক্রি করেন। এই মাছ বিক্রির মাধ্যমে তাদের সংসার চলে। এই বাঁধ দেওয়ার কারনে তারা আর নদীতে নামতে পারছেন না। তিনি বলেন, শরিফুল ইসলামের এক ভাই স্থানিয় ইউপি সদস্য। যে কারনে শরিফুল কোনো কিছুই মানতে চান না। তাদের সমস্যার কথাগুলো বলেছেন, কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেননি।

এ বিষয়ে দখলকারি শরিফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, নদীতে এখন পানি কম। তিনি খাবার জন্য কিছু মাছ ছেড়ে বড় করছেন। এটা তিনি শুনে করেছেন, কিন্তু কাদের কাছে শুনেছেন তা বলতে চাননি। শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমান উল্লাহ জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে দ্রুতই খোজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান। মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুজন সরকার জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

Post Top Ad

Responsive Ads Here