আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের
আলফাডাঙ্গায় দৈনিক ঢাকা টাইমস, ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং
সাপ্তাহিক এই সময়ের আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত মো.
মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে থানায় জিডি করেছেন তিনি।
শনিবার রাত ১১টা ৪ মিনিটে প্রথমবার ও দ্বিতীয়বার ১১টা ৩০ মিনিটে
মুজাহিদের ব্যক্তিগত মোবাইল-০১৯২১৬৭৮৫০১ নম্বরে ০১৭২৪৭১৭০৩৯ নম্বর থেকে কল
দিয়ে এ হুমকি দেন
অপরপ্রান্তে থাকা ইনামুল হাসান বলে তিনি অভিযোগ করেন। ইনামুল বর্তমানে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মুজাহিদ।
অপরপ্রান্তে থাকা ইনামুল হাসান বলে তিনি অভিযোগ করেন। ইনামুল বর্তমানে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মুজাহিদ।
সাংবাদিক মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম তার জিডিতে উল্লেখ করেন, প্রথমে রাত ১১টা ৪ মিনিটে আমার
ব্যক্তিগত মোবাইল-০১৯২১৬৭৮৫০১ নম্বরে ০১৭২৪৭১৭০৩৯ নম্বর থেকে কল আসে। আমি
কল রিসিভ করলে অপরপ্রান্তে থাকা ইনামুল হাসান আমাকে বলেন, তুমি কী চাও? আমি তার কথার অর্থ
বুঝতে না পেরে বলি, জি ভাই? তিনি আবার বলেন, কী চাও? কামারগ্রামে থাকতে
চাও?, আমি বলি, কেনো ভাই?, ইনামুল বলেন, না শুনি। থাকার ইচ্ছা আছে? আমি
বলি, থাকা আর না থাকার প্রশ্ন আসতেছে কেন ভাই?, ইনামুল বলেন, যা বলছি তাই
বলো? তোর কি থাকার ইচ্ছা আছে? আমি বলি, থাকবে না কেন? অবশ্যই থাকবে।
ইনামুল বলেন, তাহলে রাজনীতি বাদ দাও। আমি বলি, কেনো কী হইছে ভাই? ইনামুল
বলেন, তুমি কি কুতুব নাকি? তোমার সব কিছুতে কমেন্ট করতে হয়? এত বড় সাহস
পাও কোথায়? তোমারে দেয় কে এই সাহস? দোলন? আমি বলি, কেনো? আমি কি কমেন্ট
করতে পারি না? ইনামুল বলেন, কমেন্ট করতে পারো, তুমি কী? তোমার বাড়ি
কোথায়?, আমি বলি, আমার বাড়ি যেখানেই হোক না কেন? ইনামুল বলেন, তুমি
কমেন্ট করো কেন?, জবাবে আমি বলি, কমেন্ট এক জায়গায় আমি করতেই পারি। তিনি
বলেন, তুই কার সাথে কথা বলতেছিস বলতো? আমি জবাব দিই, কার সাথে আবার? আপনি
ফোন দিছেন আপনার সাথে কথা বলতেছি। ইনামুল বলেন, আমি কে বলতো? আমি বলি: আপনি
কে? ইনামুল ভাই। জবাবে ইনামুল বলেন, এ তুই এরকম কথা বলতেছিস কেনো? আমি
বলি, কী রকম? ইনামুল বলেন, ভদ্রভাবে কথা বল? আমি বলি, ভদ্রভাবেই তো কথা
বলতেছি। অভদ্রভাবে কী কথা বলছি? ইনামুল বলেন, তুই এলোমেলো কমেন্ট করিস
কেনো? আমি বলি, এলোমেলো আলফাডাঙ্গার একজন কমেন্ট করছে তার জবাব দিয়েছি।
তাছাড়া তো আমি কিছু করিনি। ইনামুল বলেন, তো তোর সমস্যা কী? তোরে এসব লেখতে
হবে কোনো? তোরে যদি বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাই? আমি বলি, ধরে নিয়ে গেলে
যাবেন! ইনামুল বলেন, ও মানে সমস্যা নাই ধরে নিয়ে গেলে? আমি বলি, না! আমার
কী সমস্যা আছে? ইনামুল বলেন, অ্যা? আমি বলি, কী সমস্যা আছে? কেউ এসে যদি
আমাকে ধরে নিয়ে যায় খালিখালি তাহলে ধরে নিয়ে যাবে! ইনামুল বলেন, আচ্ছা
তয় ঠিক আছে।, আমি বলি, আচ্ছা ভাই।
পরে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে দ্বিতীয়বার আমার বাসার সামনে এসে একই নম্বর
থেকে কল দেন ইনামুল হাসান। বলেন, কোন জায়গা তুই? আমি জবাব দিই, বাসায়!,
ইনামুল তখন ধমক দিয়ে বলেন, বাইরে আয়? আমি বলি, বের হবো কেনো? ইনামুল
বলেন, তুই বাপের ব্যাটা না? বাইর হ। তোর সাথে আমার কথা আছে। বাইরে আয়। আমি
অনুমান করি সে আমার ঘরের পাশপাশে আছে। এই অনুমানে আমি জানালা খুলিয়া আমার
ঘরের পার্শ্বে লোকজন ও ধারালো প্রাণনাশক অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠিসোঁটাসহ
ইনামুল হাসানকে দেখতে পাইয়া আমি জবাবে বলি, কালকে দিনে কথা বলবো ভাই।
ইনামুল তখন আমায় গালাগাল দিয়ে বলেন, তুই বাইরে আয় খানকির ছাওয়াল। আমি
বলি, ভাই গালাগালি দিবেন না। জবাবে তিনি বলেন, তুই বাইরে আয় শুয়োরের
বাচ্চা। আমি ফের বলি, ভাই গালাগালি দিবেন না। ইনামুল আবার বলেন, তুই বাইরে
আয় খানকির ছাওয়াল, বাইরে আয়। আমি বলি, আপনি কি আমাকে হুমকি দিচ্ছেন?
ইনামুল বলেন, বুঝতেছিস না কী দিচ্ছি? আমি বলি, আপনি ভাই ভাইয়ের মতো থাকেন।
গালাগালি দিবেন না। সকালে কথা বলবো আপনার সঙ্গে। ইনামুল হাসান ফের আমাকে
গালাগাল দেন। বলেন, তুই খানকির ছাওয়াল বাইরে আয় আর তোর দোলনরে ফোন দে।
লোক পাঠাতে বল। তারপর তুই প্রোটেকশন নিয়ে বাইরে আয়। জবাবে আমি বলি, দোলন
ভাইকে ফোন দেওয়া লাগবে না আমার। ইনামুল বলেন, তাহলে তোর বাপকে নিয়ে বাইরে
আয় শুয়োরের ছাওয়াল। আমি বলি, গালাগালি দিবেন না। ইনামুল বলেন, একেবারে
চোখ তুলে ফেলবো শুয়োরের বাচ্চা। আমি বলি, আমি কিন্তু আপনাকে সম্মান দিয়ে
কথা বলছি। একটা গালিও দেবেন না। ইনামুল বলেন, তুই কোন জায়গায়? আমি তোর
ঘরের বাইরে শুয়োরের বাচ্চা। বুঝিস না আমি কোন জায়গায়? আমি বলি, একটা কথা
বলবেন না। গালাগালি দিবেন না। জবাবে ইনামুল বলেন, গালাগালি দিবো না তো
তোরে কী করবো? দোলন কী তোর বাপ লাগে? আমি বলি, দোলন ভাইকে নিয়ে একটা কথা
বলবেন না। ইনামুল আমায় হুমকি দিয়ে বলেন, দেখিস এখন থেকে।কী করি।
ইনামুল হাসানের দেওয়া হুমকির পর থেকে আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কোনো মুহূর্তে আমার ওপর হামলার আশঙ্কা করছি।
তাই আমার নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি আমি লিখিত
আকারে আলফাডাঙ্গা থানায় অবহিত করেছি।
জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি নিয়ে জিডি করা হয়েছে। আমরা জিডির তদন্ত করে দেখছি।
