নিরেন দাস(জয়পুরহাট)প্রতিনিধিঃ-
জয়পুরহাট জেলার সদর উপজলার মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি বাঁশের সাকো দিয়ে চলাচল করছে জীবনের ঝুকি নিয়ে।
এ কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষর্থীদের উপস্থিতি কমে লেখাপড়ায় ব্যাঘাত হচ্ছে বলে অভিযাগ উঠছে।
১৯৭০ সালে স্থাপিত জয়পুরহাট সদর উপজেলার মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি।
এ বিদ্যালয় টি তুলশীগঙ্গা নদীর কোল ঘেঁষে পূর্ব তীরে রয়েছে স্কুলটি আর পশ্চিম দিকের ৫-৬ টি গ্রাম থেকে আসে বিভিন্ন শ্রেনীতে অধ্যয়নরত প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী।
এই গ্রামটির সাথে শহরাঞ্চল কিংবা অন্য গ্রামগুলার যোগাযোগ ব্যবস্থা এমনিতেই বেশ নাজুক।
সরু মেঠো পথ ছাড়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য নেই কোন বিকল্প রাস্তা। এসব ধকল সহ্য করে পায়ে ইট বালুর কাছে এসে নদী পাড় হতেহয় এক বাঁশে ভরকরা সাঁকো দিয়ে ।
এ ব্যাপারে বিভিন মহলে তদবির আর অনুরাধ করেও কোন ফল হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
অত্র স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান জানান, বর্ষাকালে নানা বয়সী এলাকাবাসীদের সাথে শিশু শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা খেয়া ঘাটের ডিঙ্গি নৌকা আর শুকনা মৌসূমে নদীতে কোথাও হাঁটু জল আবার কোথাও বা গলা পর্যন্ত পানি। তখন পারাপার হতে হয় একটি বাঁশে পাঁ আর হাত দিয়ে শরীরের ভর সামলাতে হয় আরকটি বাঁশে ভর দিয়ে।
এভাবে যুগ যুগ ধরে আসা-যাওয়া করেত গিয়ে কতোজন শিক্ষার্থীদের বই-খাতা সহ পানিতে পরে ভিজতে হয়েছে তার হিসেব নেই।
এমন বিরম্বনার কথা জানিয়ে অচিরেই একটি ব্রীজের দাবী জানিছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীরা।
ব্রীজ ছাড়া নদী পারাপারের এমন দূর্ভোগ নিয়ে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে ভুগছে এই বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
পার্শবর্তী কয়েকটি গ্রামের সর্ব সাধারনদের যাতায়াত বিরম্বনা চলছে বংশ পরম্পরায় ।
তাই সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে বিনয়ের সহিত অচিরেই একটি ব্রীজ নির্মানের আবেদন জানিয়েছেন অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রনব চদ্র মন্ডল ও সভাপতি মেহেদি হাসান ভারাক্রান্ত মনে উল্লেখ করেছেন তাদের স্কুলের জন্য নদীর উপরে একটি ফুট ওভার ব্রীজ নির্মান করাহয় তাহলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দ্রুত বেরে যাবে এবং এই অঞ্চলর মানুষের চলাফেরার সুবিধা হবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গেলে মুরারীপুর স্কুল ছাড়াও সদর উপজেলার করিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে আরও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও একই সমস্যায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ্য।
স্কুলটি ছোট যমুনা নদী তীরে বলে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতেও মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে তাই অতি দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কর্তপক্ষ।
জয়পুরহাট সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল কবীর জানান এব্যাপারে নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে যোগাযোগ করা হয়েছে তাই আশাকরি অচিরেই ব্রীজটি নির্মান হতে পারে।
No comments:
Post a Comment