ডেস্ক সংবাদ:
১১ জানুয়ারি রাতে নানা বাড়ির উদ্দেশ্যে ঢাকার সদরঘাট থেকে এমভি সুরভী-৯ লঞ্চে উঠেন কলেজছাত্র মেহেদী হাসান বাপ্পী ও তার মা। তবে রাতে মায়ের কেবিনের পাশের কেবিন থেকে নিখোঁজ হন কলেজছাত্র। অবশেষে সাতদিন পর মেঘনা নদীতে ছেলের মরদেহের সন্ধান পান মা।
শনিবার দুপুরে বরিশালের হিজলার মেঘনা নদী অংশ থেকে বাপ্পীর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত কলেজছাত্র ঝালকাঠীর পোনাবালিয়া গ্রামের আ. হালিম বিশ্বাসের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
হিজলা থানার এসআই সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ১১ জানুয়ারি নানার বাড়ি উজিরপুরে যেতে ঢাকার সদরঘাট থেকে এমভি সুরভী-৯ লঞ্চে উঠেন বাপ্পী ও তার মা। তারা রাতে পাশাপাশি কেবিনে ছিলেন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলের কেবিনে খোঁজ করেন মা। তবে ছেলেকে না পেয়ে লঞ্চের কর্তৃপক্ষের কাছে জানান। পরে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে ছেলের অবস্থান দেখা যায়। ওই দিন রাত ৩ টায় লঞ্চের পেছনে যান বাপ্পী।
তিনি আরো বলেন, বাপ্পীর খোঁজে স্বজনরা বিভিন্ন থানায় যোগাযোগ রাখেন। শনিবার মেঘনা নদীতে তরুণের মরদেহ দেখে বাপ্পীর স্বজনদের খবর দেয়া হয়। তারা এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
No comments:
Post a Comment