সোহান মাহমুদ জেলা প্রতিনিধি,চাঁপাইনবাবগঞ্জ :
ভারত সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশে হা হা কার তৈরি হয় পেঁয়াজের। ডবল শেঞ্চুরি করে পেঁয়াজের দাম। জনগনের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায় পেঁয়াজ। ফলে এবার অধিক লাভের আশায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চলগুলোতে বেড়েছে পেঁয়াজ চাষ। বিশেষ করে চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীর চরাঞ্চল এলাকায় ব্যাপকভাবে পেঁয়াজ চাষ করছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশাও করছেন তারা। অন্যদিকে পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করেও অন্য বছরের তুলনায় বেশি আয় করছেন কেও কেও। পেঁয়াজ বীজ বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি পেঁয়াজ আবাদ হচ্ছে। প্রতি মণ পেঁয়াজের বীজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকায়।
শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর এলাকার পেঁয়াজ চাষী আবু হেনা জানান,চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভাল থাকায় এবার তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করছেন তিনি। অন্য বছরের তুলনায় এবার শুধু পেঁয়াজ বীজের দাম একটু বেশি। তবে তা নিয়ে চিন্তিত নন তিনি। দার দাবি-আবওয়া বিরজমান থাকলে তিন বিঘার পেঁয়াজ বিক্রি করে সারা বছরের সংসার চলবে।
একই কথা বলেন,সদর উপজেলার চরবাগডাঙার কৃষক একবর হোসেন। তারা জানান,কৃষি বিভাগ যদি সরকারি উদ্যোগে বীজ সরবরাহ করে তবে এখানে প্রচুর পেঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চলগুলো এখন পেঁয়াজ চাষের উপযোগি রয়েছে। সেখানকার কৃষকদের ভর্তুতি কি বীজ সরবরাহ করলে বিপুল পরিমান পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। ফলে কমে আসবে বিদেশী পেঁয়াজ আমদানির প্রবণতা।
কৃষকরা বলছেন, বিগত কয়েক বছর পেঁয়াজ চাষে তেমন লাভ করতে পারেননি। আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী তিন মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে নতুন পেঁয়াজের ফলন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে। প্রত্যাশিত উৎপাদন পেলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে, অন্য জেলায় সরবরাহ সম্ভব হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পেঁয়াজ।
চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ।