সময় সংবাদ ডেস্ক//
ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ধরে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতিকে ‘সম্প্রসারণমূলক ও সংকুলানমুখী’ বলে আখ্যায়িত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতির এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও সরকারের নির্ধারিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বেসরকারি খাতে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধি পর্যাপ্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
গভর্নর আরো বলেন, চলতি অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য হলো করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা এবং সরকারের নির্ধারিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে আর্থিক খাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ করা।
২০২০-২১ অর্থবছরে বৈদেশিক লেনদেন খাতের সম্ভাব্য গতিধারা বিবেচনা করে ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহের অন্যতম উপাদান ব্যাংক ব্যবস্থার নিট বৈদেশিক সম্পদের প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের (১০ দশমিক ২ শতাংশ) তুলনায় অনেক কম।
এ অর্থবছরে নিট বৈদেশিক সম্পদের প্রবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সম্প্রসারণমূলক ও সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি ভঙ্গির কারণে নিট অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসেবে মোট অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ এবং বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে গত অর্থবছরে এক লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও অর্জন হয়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম।