সময় সংবাদ ডেস্ক//
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে প্রায় ৪০ প্রতিষ্ঠানের নামে ২৫০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে হালদার) হালদারের নেতৃত্বে এই টাকা লুট করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হকসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এ তথ্য জানান তারা। অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে রাশেদুল হক ছিলেন পিকে হালদারের ডান হাত। ২০১০ সালে পিকে হালদার যখন রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি ছিলেন তখন রাশেদুল হক রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের ডিএমডি ছিলেন। পিকে হালদার যখন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হন তখন রাশেদুল হক ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এমডি হিসেবে ২০১৫ সালে যোগদান করেন। এমডি হিসেবে যোগ দিয়েই সব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব নিজের হাতে নিয়ে নেন রাশেদুল। কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই ঋণ প্রস্তাবের পরদিনই ঋণ দিয়ে দেন। এভাবে প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ২৫০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন, যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো মর্টগেজ ছিল না। কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে মর্টগেজ ছাড়াই শত শত কোটি টাকা ঋণ দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংকে পথে বসিয়েছেন রাশেদুল।
দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে, পিকে হালদার ওই প্রতিষ্ঠানসহ পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির দায়িত্ব পালনের সময় প্রায় ৩ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তা বিদেশে পাচার করেছেন।
এর আগে, প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এজাহারে পিকে হালদারের ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার লেনদেনের বিষয়ে তথ্য ছিলো। বর্তমানে পিকে হালদার পলাতক রয়েছেন।