অবশেষে বিমানবন্দরে স্বামী নিয়ে দুই স্ত্রীর দ্বন্দ্বের অবসান - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, আগস্ট ২৫, ২০২০

অবশেষে বিমানবন্দরে স্বামী নিয়ে দুই স্ত্রীর দ্বন্দ্বের অবসান


সময় সংবাদ ডেস্ক//
বিমানবন্দরে স্বামী নিয়ে দুই স্ত্রীর দ্বন্দ্বের অবসান হলো। সোমবার কুমিল্লায় এক গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন মালদ্বীপ প্রবাসী স্বামী মাঈনুল।  ফলে দ্বিতীয় স্ত্রীর ভাগ্যেই জুটলেন তিনি।

এর আগে, ১৮ আগস্ট বিকেলে বিদেশ ফেরত স্বামীকে নিয়ে টানা-হেঁচড়া শুরু করেন মাইনুলের দুই স্ত্রী। মালদ্বীপ থেকে প্রবাসী মাঈনুল দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিজ বাড়ি কুমিল্লা যাওয়ার জন্য ভাড়া গাড়িতে উঠে বসলেই টেনে নামানোর চেষ্টা করে তার প্রথম স্ত্রী সানজিদা।

স্বামীকে নিজ জিম্মায় বউদের অতর্কিত মারামারি আর কাড়াকাড়িতে কাহিল হয়ে পড়েন স্বামী মাঈনুল। পরে তিন জনকেই থানায় পাঠিয়ে দেয় বিমান বন্দরে নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনাটি গণমাধ্যমে বেশ আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে থানায় মুচলেকা দিয়ে তিনজনকেই ছাড়িয়ে নেন মাইনুলের চাচা। ফিরে যান কুমিল্লার দাউদকান্দিতে। 

অবশেষে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মিটমাট হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সোমবার সকালে স্থানীয়দের নিয়ে গ্রাম্য সালিশে বসেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। 

তার দাবি, সাত বছর আগে তাদের বিয়ে হলেও তাকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তার স্বামী। 

মাইনুলের দ্বিতীয় স্ত্রী তমার দাবি, তিনিই প্রথম স্ত্রী। এরপরই স্বামীকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে হাতাহাতি শুরু করেন সানজিদার সাথে।

আইনগতভাবে বিচ্ছেদ না হলেও সানজিদা ও তার তিন বছরের শিশুর কোনো ভরণপোষণ দেন না মাঈনুল। সানজিদাকে প্রথম স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করলেও তার সঙ্গে আর সংসার করতে চান না বলেও জানান মাঈনুল।  

ইউপি চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশীদ বলেন, মাইনুল তার প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে ঘর-সংসার করতে রাজি না হওয়ায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই স্ত্রীকে আলাদা করে দিয়েছি। 

মাঈনুলের চাচা আলী আহমেদ মিয়াজী বলেন, প্রথম স্ত্রীকে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক ডিভোর্স দেয়া হয়েছে এবং ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সফলভাবে আজকের রায় কার্যকর হয়েছে। 

আলোচিত এই ঘটনাটি সমাধান হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে মাঈনুল। তিনি বলেন, সানজিদা আমাকে ঠিকমত সময় দিত না। এ কারণেই আমি তার কাছ থেকে সরে গেছি। অবশেষে সমাধান হওয়ায় আমার স্বস্তিবোধ হচ্ছে। দুই বউও অবশেষে মেনে নিয়েছেন সালিশের রায়। 

প্রথম বউ সানজিদা বলেন, আমাদেরকে সমাধান করে দিয়েছে। আমার ভাগ্যে ছিল না, তাই আমি পাই নাই।

দ্বিতীয় বউ তমা বলেন, আমি অনেক খুশি আমার স্বামীকে আমি অবশেষে পেয়েছি।


Post Top Ad

Responsive Ads Here