মধুখালী পৌর নির্বাচন: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এর আভাস - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২০

মধুখালী পৌর নির্বাচন: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এর আভাস

 


ফরিদপুর প্রতিনিধি :
পৌর নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে। মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের বিরামহীন প্রচার-প্রচারনায় গোটা এলাকাজুড়ে এখন বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইকের আওয়াজে উৎসব মূখর এখন গোটা এলাকা। আগামী ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলার মধুখালী পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

  
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতিক নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন বর্তমান মেয়র ও মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের জৈষ্ঠ্য সহ সভাপতি খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন এবং বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ সতেজ।


নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই দলের দুই মেয়র প্রার্থী নানা প্রতিশ্রæতি নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। বিগত দিনের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি নিয়ে নৌকার সমর্থকেরা এবং উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ধানের শীষ প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোট চাইছেন।   


সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের প্রচারনায় সরগরম গোটা পৌর এলাকাজুড়ে। এবারের নির্বাচনে নারী ভোটারদের যিনি মন জয় করতে পারবেন তিনিই হবেন পৌর পিতা এমন মন্তব্য সচেতন মহলের। 


আবার প্রার্থীদের ভাল-মন্দের দিক বিবেচনার পাশাপাশি বিগতদিনে সুখে দুঃখে কে ছিলেন পাশে ভবিষ্যৎে কে থাকবে, উন্নয়ন দিতে পারবে এ হিসাবও কষছেন এখন সাধারণ ভোটাররা।


মেয়র পদের বিএনপির প্রার্থী শাহাবুদ্দিন আহমেদ সতেজ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে তার আশংকার কথা তুলে ধরে বলেন, গত নির্বাচনে প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ভোট কেন্দ্র দখল করে জাল ভোটের মহোৎসব করে জিতেছিলেন। সকল কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনের পর নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়। এরাবও রাতের আধারে আমার পোষ্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে এই নির্বাচনে আমি বিজয়ী হব বলে তিনি জানান। 

 
বিএনপি প্রার্থীর আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন এবং গত নির্বাচনে ভোট কারচুপির বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন বলেন, জনগনের রায় নিয়েই আমি ফের নির্বাচিত হবো এমনটাই প্রত্যাশা করি। ভোট কারচুপি করে জেতার কোন ইচ্ছে আমার নেই। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে জনগণ গতবার সুষ্ঠ-নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করে সমুচিৎ জবাব দিয়েছিল। আশাকরি এবারও পৌরবাসী তাকে পুনরায় পরাজিত করে ভালো-মন্দের জবাব দেবে। 


১২ বর্গ কিলোমিটার নিয়ে মধুখালী পৌরসভাটি গঠন হয় ২০১২ সালে। ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ১৯ হাজার ৯৯০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৯ হাজার ৯শ ২ জন এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১০ হাজার ৮৮ জন।

Post Top Ad

Responsive Ads Here