অবশেষে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন ফরিদপুরের বীরাঙ্গনা নারী - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০

অবশেষে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন ফরিদপুরের বীরাঙ্গনা নারী



ফরিদপুর প্রতিনিধি :
মহান মুক্তিযুদ্ধে ফরিদপুরের শোভারামপুরে নিজ বাড়ীতে ১৬ বছর বয়সে হানাদার বাহিনী ও স্থানীয় দোসরদের দ্বারা নির্যাতিত নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) মায়া রানী সাহা অবশেষে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন। স্বীকৃতি পাওয়া মায়া রানীর পুত্র উত্তম সাহা জানান, আমাদের প্রথম দিকে খুঁজে বের করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ ক্যাপ্টেন বাবুল। পরবর্তীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা পি.কে. সরকার মায়ের বক্তব্য নিয়ে লেখা-লেখি করেন। এর কিছুদিন পর জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠে মায়ের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। কদিন আগে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান। তিনি বলেন যারা আমাদেরকে এই মর্যাদা পেতে সাহায্য করেছেন আমরা তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। 


জানাগেছে বীরাঙ্গনাকে নিয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে একটি প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তাকে স্বীকৃতি স্বরূপ নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) গেজেটভ‚ক্ত করে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব রবীন্দ্র নাথ দত্ত স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ক্রমিক নং- ৮১, গেজেট নং- ৩৮০। 


স্বীকৃতির পরে বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনা-কে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক তার কার্যালয়ে ২১ ডিসেম্বর সম্মাননা শুভেচ্ছা প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধা মায়া রানী সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামী নূর মোহাম্মদ ক্যাপ্টেন বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা পি.কে. সরকার। এরপর গত ২৩/১২/২০২০ইং তারিখ ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তা উপজেলা কার্যালয়ে তাকে ফুলেল সংবর্ধনা প্রদান করেন। 


উল্লেখ্য ৬১জন বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে একমাত্র মায়া রানী সাহা ফরিদপুরের একজন। তার স্বীকৃতির বিষয়টি ছিলো ফরিদপুরে মুক্তি সংগ্রামে ভূমিকা রাখা প্রতিটি মানুষের প্রানের দাবি। যা বাস্তবায়ন হওয়ায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারকে  ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

Post Top Ad

Responsive Ads Here