বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েন্সারদেরই ভবিষ্যৎ: রথি আহমেদ মিকি - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, এপ্রিল ১৭, ২০২১

বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েন্সারদেরই ভবিষ্যৎ: রথি আহমেদ মিকি



নিউজ ডেস্ক //

বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পরিচিত মুখ মডেল এবং ইনফ্লুয়েন্সার রথি আহমেদ। বাংলাদেশের হিজাবি মডেল হিসাবে তার বেশ সুনাম রয়েছে। এছাড়াও তিনি দেশের প্রথম টিকটকার- যিনি ওপ্পো, ভিভো, দারাজসহ নানা ব্র্যান্ডের ইনফ্লুয়েন্সার হিসাবে কাজ করেছেন।


হিজাব মডেলিংয়ের ক্ষেত্রে কোন বিড়ম্বনায় পড়তে হয় কিনা সে প্রসঙ্গে রথি বলেন, 'আমাকে যখন একটি বিজ্ঞাপনের জন্য চূড়ান্ত করা হলো তখন তারা আমাকে জানায়, ক্যামেরার সামনে আমাকে খোলা চুলে থাকতে হবে। হিজাব ছাড়া নাকি আমাকে স্ক্রিনে দেখতে ভালো লাগবে। তখন আমার মাথায় আসে, তাহলে কি যারা হিজাব পরে তাদের দ্বারা কাজ সম্ভব না? আমি মনে করি, আমি যেমন তেমনই থাকুন। আপনার কোয়ালিটি আর আত্মবিশ্বাস থাকলে আপনি আপনার অবস্থান থেকেই পছন্দের জায়গায় কাজ করতে পারবেন। আমি অনেকগুলো ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করেছি, সবগুলোতে হিজাব পরেই করেছি।'


ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমি অনেক বছর ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করছি। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ইত্যাদি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আমি যখন কোন ব্র্যান্ড প্রমোশন করতাম প্রতিটি জায়গায় নতুন নতুন বিষয় শিখতাম। কাজ করতে গিয়েই শিখেছি, সেগুলোর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি।'



তিনি আরও বলেন, 'আমার মনে হয়, বাংলাদেশে ইনফ্লুয়েন্সারদেরই ভবিষ্যৎ। যারা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সার মানুষ তাদেরই ফলো করে। আপনি কোন ব্র্যান্ড চালু করলেও আপনার ইনফ্লুয়েন্সারদের সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে। আমরা যারা টিকটকে ইনফ্লুয়েন্সার আছি তারা মিউজিক কোম্পানীগুলোকে অনেক সাপোর্ট দিচ্ছি। টিকটকে যে গানটি ভাইরাল হয় সেই গানটির ইউটিউব ভিউ অনেকাংশে বেড়ে যায়।'


এত ব্যস্ততার মাঝেও রথি একজন ভ্রমণপিপাসু। তিনি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেন এবং সেই মুহুর্তগুলো ক্যামেরায় বন্দী করেন। ট্রাভেল ভিডিও বানানোর চ্যালেঞ্জ কতটা সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'একজন মেয়ের ট্রাভেল করতে হবে সেটা চিন্তা করাটাই তো অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। কোথাও ট্রাভেল করার আগে পরিবারের অনুমতি নেয়া, যেখানে যাবো সেই জায়গাটা কতটুকু নিরাপদ সেটা নিশ্চিত হওয়াসহ আরো অনেক বিষয় থাকে। সেগুলোকে মিলিয়ে একটা জায়গায় যাওয়া আসলেই চ্যালেঞ্জিং। আমার কাছে মনে হয়, একজন মেয়ের জন্য ট্রাভেল করার আগে তার সিকিউরিটি নিশ্চিত হওয়াটা জরুরি। কারণ রাস্তায় কখন, কোথায় কি হয়ে যায় সেটা বুঝা মুশকিল। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।'



একদম ছোটবেলা থেকেই রথির ইচ্ছা ছিলো তার একটা রেস্টুরেন্ট, একটা ফ্যাশন হাউজ থাকবে। এখন যেহেতু সে ফ্যাশন ক্লথিং নিয়ে পড়ছে তাই তিনি মনে করেন তার ইচ্ছাটা পূরণ হবে। এছাড়া তিনি এখন যেসব কাজ করছেন সেগুলোও চালিয়ে যেতে চান।

Post Top Ad

Responsive Ads Here