হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা কিন্তু স্বাস্থবিধি মানার বালাই নেই সাধারণ মানুষের মধ্যে। এ অবস্থায় করোনা সংক্রামন রোধের লক্ষে সরকার ৭ দিনের লকডাউন জারির ১ম দিন (৫ এপ্রিল) সোমবার দিনব্যাপি সারাজেলায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের নেতৃত্বে ২০ টি ভাগে বিভক্ত হয়ে বিজ্ঞ ২৩ জন ম্যাজিষ্টেট ভ্রাম্যমাণ আদালত এক সাথে পরিচালনা করেন। উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের সর্বক্ষনিক সহায়তায় ছিলেন"-র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৯ এর বিশেষ টিম, জেলা পুলিশের বিশেষ টিম , বিজিবির বিশেষ টিমের সদস্যরা।
দিনব্যাপি পুরো জেলায় অভিযান পরিচালনা কালে সরকার পক্ষ থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞপনের নিয়মাবলী অমান্য করে স্বাস্থবিধি না মানা, গণ-পরিবহনে যাতায়াত/অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ও লকডাউনের বিধি-নিষেধ না অমান্য সহ বিভিন্ন অপরাধে ২০টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০৮টি মামলায় ৬৫ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এছাড়াও যারা
লকডাউনের বিধি-নিষেধ অমান্য করে ব্যাবসা প্রতিষ্টান পরিচালনা করছিল তাদের ব্যাবসা প্রতিষ্টান বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং সকলকে
লকডাউনের বিধি-নিষেধ ও স্বাস্থবিধি মেনে চলাফেরা করার জন্য সতর্ক থাকতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অন্যথাায় নির্দেশনা অমান্য করলে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকল্পে লক-ডাউনে জন্য জারিকৃত বিধি-নিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান। জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের সাথে যোগাযোগ করলে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং তিনি হবিগঞ্জ জেলাবাসী সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন শুধু মাত্র প্রসাশনের ভ্রাম্যমাণ বা তদারকি করে সঠিকভাবে সকল প্রকার সেবা প্রদান অনেক কঠিনতর। তিনি হবিগঞ্জ জেলাবাসী সকলের প্রতি অনুরোধ করেন নিজের সুরক্ষা নিজেকে নিজ দ্বায়িত্ব মনে পালন করতে হবে, তা না হলে এই মহামারী করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, করোনা প্রতিরোধে সকল প্রকার চেষ্টা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে চলমান থাকবে।
No comments:
Post a Comment