নাসিরের বাসায় হতো ডিজে পার্টি, মাদক-মদে ডুবে থাকতো সুন্দরীরা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Monday, June 14, 2021

নাসিরের বাসায় হতো ডিজে পার্টি, মাদক-মদে ডুবে থাকতো সুন্দরীরা


 

সময় সংবাদ ডেস্কঃ


ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, প্রায়ই তার বাসায় ডিজে পার্টি হতো। এসব পার্টিতে এসে মাদক ও মদে ডুবে থাকতো সুন্দরী নারীরা।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরের-১২ নম্বর রোডে তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিনসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


গোয়েন্দা বিভাগ (উত্তর-তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর ও উত্তরা) এবং সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেন, নায়িকা পরীমনির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানকালে নাসিরের বাসা থেকে বিদেশি মদসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। তার বাসায় উঠতি বয়সী নারীরা এসে মদ পান করতেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। নাসিরের বাসায় ডিজে পার্টির আয়োজন ছিল

তিনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হবে।


এর আগে, ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সাভার থানায় নাসির উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমনি। সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এতে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে আরও চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এর আগে সকালে রূপনগর থানার মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেন পরীমনি।


মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয় উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদকে। দুই নম্বর আসামি পরীমণির বন্ধু অমি। এছাড়া চার জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।


মামলার এজহারে পরীমনি লিখেছেন, গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দুটি গাড়িযোগে তারা উত্তরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথে অমি জানান ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। ১২টা ২০ মিনিটের দিকে বোট ক্লাবের সামনে গাড়ি দাঁড় করানো হয়। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তারপর ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেন।


পরীমনি লিখেছেন, অমি অনুরোধ করে এখানের পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পারো। আমরা বোট ক্লাবে প্রবেশ করে বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করি। টয়লেট থেকে বের হতেই অভিযুক্ত আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন।


এজাহারে বলা হয়েছে, এক নম্বর আসামি (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে এবং আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সে উত্তেজিত হয়ে টেবিলে থাকা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে আমার গায়ে ছুঁড়ে মারেন। তখন কস্টিউম ডিজাইনার জিমি নাসির মাহমুদকে বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে নীলাফোলা জখম করে।

 

এ অবস্থায় ৯৯৯-এ কল দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন উল্লেখ করে পরীমণি আরো লেখেন- ৯৯৯ এ কল দিতে গেলে আমার ব্যবহৃত ফোনটি টান মেরে ফেলে দেয়া হয়। ফোনটি উঠিয়ে কল দিতে চাইলে আবারো ফোনটি টেনে ফেলে দেয়া হয়। অমিসহ অজ্ঞাতনামা চার আসামি নাসিরকে সহায়তা করে। আমি অজ্ঞাতনামা আসামিদের দেখলে শনাক্ত করতে পারবো।


আসামিরা বিভিন্ন মাধ্যমে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন অভিযোগ করে পরীমণি আরো লেখেন, এ বিষয়ে আমি আমার পরিবার, শিল্পী সমিতি ও অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করেছি।

No comments: