জামাইদিঘী সরকারী প্রা.বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শুক্রবার, জুন ১১, ২০২১

জামাইদিঘী সরকারী প্রা.বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ



বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি :

নাটোরের বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়নের জামাইদিঘী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে নানাবিধ দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও অপসারণের দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির একাংশ ও অর্ধ শত অভিভাবক। বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সুলতান মন্ডল, ছাবদুল ইসলাম, অভিভাবক পলাশ প্রামাণিক, আরিফ মন্ডল সহ অন্যান্যরা। 

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারীরা জানান, প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক ৮ কি.মি দূরে বনপাড়া পৌর শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। যার ফলে তিনি বিদ্যালয়ে তেমন আসেন না। বিদ্যালয়ের সংস্কারকরণ কাজে বরাদ্দকৃত ২ লক্ষ টাকার মাত্র ৪৫ হাজার টাকা খরচ করার পর বাকী টাকা ভুয়া বিল করে আতœসাৎ করেছেন। ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সুলতান মন্ডল এ খরচ খাতের স্বচ্ছ হিসাব দাবি করলে পরিচিতি বোর্ড থেকে সুলতান মন্ডলের নাম মুছে দেন ওই প্রধান শিক্ষক। এছাড়া ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সমাপনী ও ছাড়পত্র সনদ দেয়ার জন্য প্রতিজন ১০০ টাকা করে আদায় করার অভিযোগও দেন অভিভাবকরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বচক্ষে দেখার অনুরোধ করলে দেখা যায়, বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল সহ অন্যান্য আসবাবপত্রে ময়লার স্তুপ পড়ে আছে। বিভিন্ন পোকা-মাকড় বসতি স্থাপন করেছে।  টয়লেট ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দেখেই বোঝা যায়, করোনা কালীণ দেড় বছরে বিদ্যালয়ে কেউ আসেননি ও কক্ষ খুলেননি। এ সময় স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নৈশ্য প্রহরী রিমন মন্ডল রাতে আসেন এবং বন্ধুদের নিয়ে মাদক সেবন করেন। অভিযোগকারীরা প্রধান শিক্ষক ও নৈশ্য প্রহরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।  

এ ব্যাপারে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নবির মন্ডলের কাছে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষকের নাম আমার জানা নাই। তার সাথে তেমন একটা যোগাযোগ হয় না। 

প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হকের সাথে বনপাড়াস্থ তার বাসায় কথা হলে তিনি আনীত অভিযোগ ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। 

উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম রেজাউল হক জানান, এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


Post Top Ad

Responsive Ads Here