আবু সাঈদ শাকিল নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী পৌর শহরে ১৪৪ ধারা ভেঙে সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর পক্ষে মিছিল করেছে তার কর্মী-সমর্থকরা। সোমবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে মিছিলটি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে যেতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে মিছিলটি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে যেতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় নোয়াখালী পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ ১১জনকে আটক করে। মিছিলকারী যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর অনুসারী বলে জানা যায়।
এর আগে, সোমবার সকাল ১০টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও টাউন হল মোড়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিন কর্তৃক সমাবেশ ও জনসভা করার ঘোষণা দেন। আ.লীগের তিন পক্ষের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী পৌর এলাকায় প্রশাসনের জারীকৃতড় সব ধরণের সভা-সমাবেশ, মিছিল-র্যালি-শোভাযাত্রা এবং রাজনৈতিক প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জানা যায়, রোববার বিকেল ৫টার দিকে সোমবারের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে মাইজদী শহরের টাউন হল মোড়ে ৩টি গ্রুপের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয় এবং পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেয়। এ সময় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিবাদ দেখা দেয়। এভাবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেল ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীনের অনুসারীরা আলাদাভাবে নিজেদের কর্মসূচি পালন করে আসছে। এক পর্যায়ে বিবাদমান তিনটি গ্রুপের অনুসারী নেতাকর্মীরা তাদের সোমবারের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে সফল করতে রোববার বিকেল থেকেই জেলা শহরে অবস্থান নেয়। এ সময় তিন গ্রুপের অনুসারী নেতাকর্মী জেলা শহরে পথ সভা, মিছিল করলে ত্রিমুখী উত্তেজনা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দিলে জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।
রবিবার বিকাল ৬:৩০ জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান সোমবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সদর উপজেলার মাইজদী শহর ও আশপাশ ( মাইজদী, দত্তেরহাট, সোনাপুর) এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ঘোষণা করেন।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান জানান, ১৪৪ কার্যকর করতে ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৬জন র্যাব ও শতাধিক পুলিশ সদস্য নোয়াখালী পৌরসভা এলাকায় টহল দিচ্ছে। এ ছাড়াও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।