রেইনট্রি হোটেলে শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায় আগামীকাল - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, অক্টোবর ২৬, ২০২১

রেইনট্রি হোটেলে শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায় আগামীকাল


 


সময় সংবাদ ডেস্কঃ




রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে রায়ের জন্য আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য রয়েছে। 


ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন। 


এর আগে গত ১২ অক্টোবর এ মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক অসুস্থ থাকায় এ রায় পিছিয়ে ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।


এ মামলার অপর আসামিরা হলেন সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।











গত ৩ অক্টোবর জামিনে থাকা আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। তবে জামিনে থাকা পাঁচ আসামির জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা পাঁচ আসামির নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন। 


এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এ সময় পাঁচ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন। 


মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। সেখানে বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করে। 


আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তার মাধ্যমেই ওই ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় হয়। পরে সাফাত তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ওই দুজনকে আমন্ত্রণ জানালে তারা সম্মত হন। আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে তাদের বলা হয়েছিল, বড় একটি অনুষ্ঠান হবে ও অনেক লোকজন থাকবে। 


ঘটনার রাতে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী তাদের দুজনকে বনানীর ২৭ নম্বর রোডে অবস্থিত হোটেল রেইনট্রিতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তারা অন্য কোনো লোকজন দেখতে পাননি। তবে অন্য দুই তরুণীকে সাফাত ও নাঈম হোটেলের ছাদ থেকে নিচে যেতে দেখতে পান তারা। কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন না দেখে তারা চলে যেতে চাইলেও আসামিরা তাদের গাড়ির চাবি শাহরিয়ারের কাছ থেকে নিয়ে নেয়। তাকে মারধর করে। 


পরে বাদী ও তার বান্ধবীকে হোটেলের একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় সাফাত তার গাড়িচালককে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে বলেন। বাদীকে নাঈম আশরাফ মারধরও করেন।

Post Top Ad

Responsive Ads Here