এরশাদ আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় চুরির প্রবনতা বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ী মহল আতংকিত হয়ে পড়েছেন। বার বার চুরি ঘটনা ঘটলেও পুলিশী তৎপরতার অভাবে চোরাই কোন মালামাল উদ্ধার কিংবা চোর শনাক্ত করতে পারছেনা তারা। শালগ্রাম, কুসুম্বী বাজার ও আদমদীঘি কাাঁচা বাজার ও ব্রিজের পাশে ডহরপুর রোডসহ কয়েকটি স্থানে রাত জেগে পাহারা চলছে বলে জানাগেছে।
জানাযায়, আদমদীঘি উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার লায়লা আরজুমানের ভাড়া বাসায় দিনের বেলা স্বর্ণালংকারসহ ৭ লাখ টাকার মালামাল চুরি, উপজেলা মসজিদ মার্কেটের সামনে সাহেল কাজির গ্রীলের দোকানে ১০ হাজার টাকা মূল্যের এ্যাঙ্গেল রড চুরি, রাজুর চা-দোকানে চুরি।
বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের পাশে আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ মসজিদ মার্কেটে অবস্থিত আদমদীঘি প্রেসক্লাবে কম্পিউটার সেট, ক্যামেরাসহ প্রায় ৪০ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল চুরি, পুরাতন সোনালী ব্যাংকের নীচে আলহাজ্ব আবু বক্কর ছিদ্দিকের রড সিমেন্টের দোকান চুরি, শালগ্রামে গরু চুরি মসজিদ মার্কেটের থ্রি স্টার কম্পিউটার দোকানে পরপর দুই বার চুরির চেষ্টা।
সান্তাহার রথবাড়ী এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক ও শিক্ষকের দুটি মোটরসাইকেল চুরি এবং গত সোমবার দিবাগত রাতে আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ডে শাহ আলমের দোকানে চুরিসহ বেশ কিছু গ্রামে প্রায় রাতেই চুরির ঘটনা ঘটছে।
প্রায় রাত ও দিনে অহরহ চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশী তৎপরতার অভাবে চোরাই মালামাল উদ্ধার কিংবা চোর শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। উপজেলায় চুরি প্রবনতা বৃদ্ধির কারনে ব্যবসায়ী ও কৃষক মহল আতংকিত হয়ে পড়েছেন। চোরের ভয়ে ইতিমধ্যে বেশ কিছু গ্রামে রাত জেগে পাহারা দিতে শুরু করেছেন গ্রামবাসি। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দীন দোকান মালিকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন চোরাই একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চোর শনাক্ত ও গ্রেফতার তৎপরতা চলছে।
মোঃসাইফুল্লাহ /সময় সংবাদ