প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সালথা থানার ওসির সংবাদ সম্মেলন | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, মার্চ ২৭, ২০২২

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সালথা থানার ওসির সংবাদ সম্মেলন | সময় সংবাদ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সালথা থানার ওসির সংবাদ সম্মেলন | সময় সংবাদ


সালথা(ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রবিবার বিকালে অফিসার ইনচার্জ এর নিজ অফিস কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।  এসময় তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ এর প্রতিবাদ জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৩ মার্চ  প্রকাশিত বিভিন্ন অনলাইন ও বিভিন্ন পত্রিকায় "চাঁদা না পেয়ে ঘুমন্ত জিহাদকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে" শিরোনামে  যে নিউজ প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।


তিনি বলেন প্রকৃত ঘটনা হলো এই যে,  ১৩ মার্চ দলপক্ষ নিয়ে সালথা থানা এলাকার গট্টি ইউনিয়নের বাসুয়ারকান্দী গ্রামে ধলামিয়ার দল ও ইকবাল শেখের দলের মধ্যে মারামারি হয়। পুলিশ  ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।


সংঘর্ষের পরিস্থিতি শান্ত হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে। এই ঘটনার জেরে গট্টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দলপক্ষের মধ্যে বিরোধ ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিন রাত ২ টার দিকে পুনরায় খবর আসে বালিয়া বাজার এলাকায় দুইটি দলের লোকজন অস্ত্রসস্রে সজ্জিত হচ্ছে। এমন খবরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাতেই পুলিশফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দলবদ্ধ লোকজনকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার নির্দেশ দেই। উপস্থিত দুইপক্ষের লোকজন পুলিশী নির্দেশ অমান্য করে পুলিশের উপর বেপরোয়াভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তাদের আক্রমনে আমিসহ কযেকজন পুলিশ সদস্য আহত হই। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ঘটনায় জড়িত আক্কাছ শেখ, মজনু ফকির, জিহাদ মোল্যা ও সজিব মিয়াকে দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা সহ গ্রেপ্তার করা হয়।


পরে ওই রাতেই মুরাদ মেম্বার ও গট্টি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাবলু থানায় আসে মুরাদ এর ভাই জিহাদকে ছাড়াতে। আমি তাকে ছাড়তে নারাজ হই। এতেই মুরাদ মেম্বার আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়।  জিহাদকে গ্রেফতার করে থানা গারদে রাখা হয়। তাকে কোন মারধর করা হয়নি। পরের দিন তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরন করেন।


জিহাদ জামিনে মুক্তি পেয়ে তার ভাই মুরাদকে নিয়ে যে মানববন্ধন করেছে তা আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রনোদিত।  তাছাড়া মুরাদ মেম্বার একজন গ্রাম্য দলের নেতৃত্ব দানকারী বিভিন্ন অনৈতিক সুপারিস নিয়ে আসতো থানায়। তার এই অনৈতিক সুপারিস না রাখার কারনে এমনটি করছে তিনি। তিনি আরো বলেন, মুরাদ মেম্বারের বিরুদ্ধে সালথা থানায় ৪টি ও তার ভাই জিহাদের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে।


এব্যাপারে মুরাদ মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সালথা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান ( আজিজ), সালথা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এমকিউ হোসাইন বুলবুল,  মনির মোল্লা,  সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম,  সিনিয়র সাংবাদিক আবু নাছের হুসাইন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মজিবুর রহমান,  সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম,  সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক শরিফুল হাসান, বিধান মন্ডল, আকাশ সাহা প্রমূখ।


Post Top Ad

Responsive Ads Here