![]() |
খুলনায় স্কুলছাত্র রাজিন হত্যায় ১৭ আসামির ৭ বছরের কারাদণ্ড |
খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা পাবলিক কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ফাহমিদ তানভীর রাজিন হত্যা মামলায় ১৭ আসামিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া যেসব আসামির বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদের সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ ও শিশু আদালতের বিচারক মো. আব্দুস ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল।
সাজাপ্রাপ্তরা হলো- মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে সাব্বির হাওলাদার, বিএম মাজিব হাসান রয়েল, শাহারিয়ার জামান তুর্য, রিয়ান শেখ ওরফে রেফাত, ফাহিম ইসলাম মনি, সানি ইসলাম ওরফে আপন, জিসান খান, তারিন হাসান ওরফে রিজভী, শাকিব খান শিমুল, অন্তর কুমার দাস, হাকিম, সৈকত, শেখ সাকিব, আসিফ প্রান্ত আলিফ, শেখ তামিম, সাকরান সালেহ ওরফে মিতুল, মোস্তফিজুর রহমান নাঈম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ফাহমিদ তানভীর রাজিন খুলনার মুজগুন্নী আবাসিক এলাকার মো. ফারুক হোসেনের ছেলে। ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে কনসার্ট দেখার জন্য কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হয় রাজিন। রাতে অনুষ্ঠানস্থলে বসাকে কেন্দ্র করে আসামি তামিমের সঙ্গে রাজিনের হাতাহাতি হয়। রাত ৯টার দিকে রাজিনকে অনুষ্ঠান মঞ্চের পেছনে নিয়ে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে তামিম ও বাকি আসামিরা। এক পর্যায়ে সাব্বির বলে- আমার কাছে চাকু আছে। অনেকদিন চাকুটি রক্ত খায়না। ঐ সময় অন্য আসামিরা রাজিনের হাত চেপে ধরে। আর সাব্বির চাকুটি রাজিনের পেটে ঢুকিয়ে দিলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে রাজিনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঐ ঘটনায় নিহতের বাবা ৬ আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মামলা করেন। একই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি খালিশপুর থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ বিচারকাজ শেষে আদালত ১৭ আসামিকেই কারাদণ্ড দেয়।