আদমদীঘিতে আওয়ামীলীগ নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Friday, November 18, 2022

আদমদীঘিতে আওয়ামীলীগ নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট | সময় সংবাদ

 

আদমদীঘিতে আওয়ামীলীগ নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট | সময় সংবাদ

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : 

বগুড়ার আদমদীঘির ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও ট্রাক ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা( ৫০) এর  পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। 


তাকে গুরুতর অবস্থায় টহল পুলিশ উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।


 গত বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় সান্তাহার-বগুড়া মহাসড়কের তিয়রপাড়ার ব্রিজের পূর্বে কলাবাগান (বকুলতলা) নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহত আওয়ামীলীগ নেতা আদমদীঘির শিবপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।


আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি আহত ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তার পশ্চিম ঢাকারোডে গ্যারেজে যান। সেখানে কাজ শেষে প্রতি রাতের মত রাত ৩টায় মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি আদমদীঘির শিবপুর গ্রামে ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৩টায় সে সান্তাহারের নিকট কলাবাগান বকুলতলা নামক স্থানে পৌঁছিলে ৭/৮ জনের একদল দুর্বৃত্তরা পথরোধ করে হাত বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এরপর গোলাম মোস্তফা মারা গেছে ভেবে ফেলে রেখে মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও ১১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে টহল পুলিশের এএসআই আব্দুল মজিদ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। এর আড়াই মাস পূর্বে ২৯ আগষ্ট আহত গোলাম মোস্তফার ভাতিজা ওয়েলডিং মিস্ত্রি মাহবুল আলমকে ছাতিয়ানগ্রাম সড়কে দুর্বৃত্তরা একই কায়দায় পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের। 


আহত গোলাম মোস্তাফার ভাই গোলাম মর্তুজা জানান, তার ছেলে ওয়েলডিং মিস্ত্রিী মাহবুল আলমকে হত্যা ঘটনায় আদালতে দায়ের করা অভিযোগের তদবিরের মুল ব্যক্তি ছিলেন তার ভাই আহত গোলাম মোস্তফা। সেই কারনে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোলাম মোস্তফাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপড় এই হামলা করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। আদমদীঘি থানার অফিসার রেজাউর করিম জানান, বিষয়টি অবগত রয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।




No comments: