![]() |
রাঙামাটিতে ভারবোয়াচাপ বনবিহারে ২৯তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান সম্পন্ন |
মহুয়া জান্নাত মনি, রাঙামাটি:
রাঙামাটিতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী ২৯তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) ভারবোয়াচাপ বনবিহারে দায়ক–দায়িকাদের আয়োজনে এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারবোয়াচাপ বনবিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা চন্দ্র কুমার চাকমা এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জ্যাশন চাকমা। অনুষ্ঠানে পূণ্যার্থীদের পক্ষ থেকে পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন কমিটির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মায়াধন চাকমা।
ধর্মীয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দেব প্রসাদ দেওয়ান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সড়ক বিভাগের প্রকৌশলী মোহিনী রঞ্জন ও কঠিন চীবর দান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বক্রবাহন চাকমা।
ধর্মদেশনা প্রদান করেন রাজ বনবিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ও ভারবোয়াচাপ শাখা বনবিহারের অধ্যক্ষ করুনা মিত্র স্থবির। এছাড়া বিভিন্ন বিহারের ভান্তে ও ভিক্ষুগণও পূণ্যার্থীদের উদ্দেশে ধর্মদেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্টপরিষ্কার দান, কল্পতরু দান, আকাশ প্রদীপ দান, হাজার প্রদীপ দানসহ নানা ধর্মীয় অনুষঙ্গ সম্পন্ন হয়। দেশ ও সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনাও করা হয়।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তিন মাস বর্ষাবাস পালনের পর প্রবারণা পূর্ণিমা শেষে শুরু হয় মাসব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব। গৌতম বুদ্ধের সময় থেকে প্রচলিত এই ‘চীবর দান’ অনুষ্ঠানে ভিক্ষুদের পরিধানের জন্য হাতে তৈরি বস্ত্র দান করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বস্ত্র কেটে, সুতা বানিয়ে, রং করে চীবর তৈরি করার এই প্রক্রিয়াই “কঠিন চীবর দান”-এর বিশেষত্ব।
পূর্ণ্যার্থীরা বিশ্বাস করেন, কঠিন চীবর দান অতুলনীয় পূণ্যের উৎস এবং মানবকল্যাণের এক মহা সুযোগ।