![]() |
| মন্টু বিশ্বাসের মৃত্যু ঘিরে ঝিনাইদহে উত্তেজনা: স্ট্রোক না হত্যা? |
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কামান্না গ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের বিরোধকে কেন্দ্র করে মন্টু বিশ্বাস (৪০) নামের এক কর্মীর মৃত্যু ঘিরে দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা ও রহস্য। মৃত্যুর কারণ ‘স্ট্রোক’ না ‘হত্যা’—এ নিয়ে এলাকাজুড়ে চলছে বিতর্ক ও গুজব।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের কামান্না গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির আবু তালেব ও মুকুল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের দাবি, এ সময় গুরুতর আহত হন মন্টু বিশ্বাস (পিতা: মৃত ইন্তাজ আলী বিশ্বাস)। পরে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মৃত মন্টু বিশ্বাসের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এই বক্তব্যের পর থেকেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। কেউ বলছেন, সংঘর্ষের ধাক্কায় হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে; আবার কেউ দাবি করছেন, আঘাতে মৃত্যু হলেও সেটি বাহ্যিকভাবে বোঝা যায়নি।
মন্টু বিশ্বাসের মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এরপরই উত্তেজিত জনতা প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ও দোকানে ভাঙচুর চালায়।
খবর পেয়ে শৈলকুপা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান,
“এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, মন্টু বিশ্বাসের মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই প্রকৃত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে এবং সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় শৈলকুপার রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ও বিভাজন তৈরি হয়েছে।

