![]() |
| আলফাডাঙ্গায় ‘মামলাবাজ’ ভাবির বিরুদ্ধে ভাসুরের সংবাদ সম্মেলন |
আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করার অভিযোগ তুলেছেন ইশারত হোসেন নামে এক ব্যক্তি।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের লোকাল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ভাড়া বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী ইশারত হোসেন পৌর এলাকার মিঠাপুর চরপাড়া গ্রামের মৃত মোকছেদ মোল্যার বড় ছেলে। আর অভিযুক্ত হলেন তার ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী জামির হোসেনের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম। সংবাদ সম্মেলনে ইশারত হোসেন বলেন, আঞ্জুয়ারা বেগম দীর্ঘদিন ধরে তার নামে থানায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিচ্ছেন। ভাই বিদেশে থাকায় আঞ্জুয়ারা ইচ্ছামতো চলাফেরা করেন এবং একাধিক অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, এসব কাজে বাধা দেওয়ায় আঞ্জুয়ারা ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে নানা সময় মনগড়া অভিযোগ ও মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এমনকি তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টাও চালান। ইশারত হোসেন বলেন, ২০২২ সালের জুলাই মাসে আঞ্জুয়ারা তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার একটি মামলা করেন, যা তদন্তে ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয় এবং তিনি অব্যাহতি পান।
ইশারতের দাবি, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে সাজানো নাটক সাজিয়ে আবারও মিথ্যা অভিযোগ এনে ১৭ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর আদালতে নতুন একটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেন আঞ্জুয়ারা বেগম। অথচ ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন না, বরং সেদিন রাতেই আলফাডাঙ্গা সদরে নিজের ভাড়া বাসায় ছিলেন—যা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে প্রমাণ করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, এর আগের অভিযোগগুলোর তদন্তেও আলফাডাঙ্গা থানা কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরা যাচাই করে অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণ পেয়েছেন। এমনকি চলতি মাসের ১০ অক্টোবর তার বৃদ্ধা মাকে রান্না করা খাবার খাওয়াতে বাড়িতে গেলে আঞ্জুয়ারা চিৎকার করে বলেন, তিনি হামলার উদ্দেশ্যে এসেছেন। অথচ ঘটনার সময় তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদের ২০ গজ দূর থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যান।
ইশারত হোসেন জানান, আঞ্জুয়ারার আচরণের কারণে তার ছোট ভাই প্রায় এক দশক ধরে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আঞ্জুয়ারা শুধু তার সঙ্গেই নয়, বৃদ্ধা মা হাজেরা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন।
বর্তমানে আঞ্জুয়ারার ভয়ে তিনি নিজ বাড়ি ছেড়ে আলফাডাঙ্গা সদর বাজারে ভাড়া বাসায় পরিবারসহ বসবাস করছেন। সেখানে তিনি ফুটপাতে জুতা-স্যান্ডেলের ব্যবসা করে সংসার চালান। ক্রমাগত মিথ্যা মামলা ও হয়রানির কারণে তিনি চরম মানসিক ও আর্থিক সংকটে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইশারত হোসেন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আমি চাই আপনারা বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে প্রকৃত সত্য জনগণের সামনে তুলে ধরুন।” এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বৃদ্ধা মাতা হাজেরা বেগম, ভাই সাখাওত হোসেন ও বোন মজিরন বেগম।

