এলডিসি উত্তরণ ও চট্টগ্রাম বন্দর: সরকারের সিদ্ধান্তে বৈধতা নেই -তারেক রহমান - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৫

এলডিসি উত্তরণ ও চট্টগ্রাম বন্দর: সরকারের সিদ্ধান্তে বৈধতা নেই -তারেক রহমান

এলডিসি উত্তরণ ও চট্টগ্রাম বন্দর: সরকারের সিদ্ধান্তে বৈধতা নেই -তারেক রহমান
এলডিসি উত্তরণ ও চট্টগ্রাম বন্দর: সরকারের সিদ্ধান্তে বৈধতা নেই -তারেক রহমান


মো: নাজমুল হোসেন ইমন,স্টাফ রিপোর্টার: 

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ এবং চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে অর্ন্তর্বতী সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দাবি করেন, গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেট ছাড়াই সরকার এমন দীর্ঘমেয়াদি নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যা জাতির ভবিষ্যতে ‘গভীর প্রভাব’ ফেলবে।


সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি এলডিসি উত্তরণ, অর্থনৈতিক চাপ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কৌশলগত সিদ্ধান্তসমূহ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।


পোস্টে তারেক রহমান উদাহরণ টেনে লিখেছেন—গাজীপুরের এক ছোট গার্মেন্টস মালিক বছরের পর বছর ব্যবসা ধরে রাখলেও হঠাৎ শুল্ক-সুবিধা কমে যাওয়ায় ব্যাপক সংকটে পড়েছেন। এতে অর্ডার কমে যাওয়ার পাশাপাশি কম লাভে টিকে থাকা, শ্রমিকদের বেতন দেওয়া এবং ব্যবসা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।


তিনি আরও উল্লেখ করেন—নারায়ণগঞ্জের একটি শ্রমজীবী পরিবার রফতানি কমে যাওয়ায় শিফট কমানো, ওভারটাইম বন্ধ এবং শেষ পর্যন্ত ছাঁটাইয়ের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। তার মন্তব্য—এগুলো কোনো ‘সংবাদ শিরোনাম নয়’, বরং সাধারণ মানুষের নীরব বাস্তবতা।


তারেক রহমান বলেন, সরকার দাবি করছে ২০২৬ সালে উত্তরণ স্থগিত করা ‘অসম্ভব’। তবে জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী অর্থনৈতিক ধাক্কায় পড়লে কোনো দেশ সময় বাড়াতে পারে। অ্যাঙ্গোলা ও সামোয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সময় চাওয়াটা দায়িত্বশীল পদক্ষেপ, বিশেষত একটি অর্ন্তর্বতী সরকারের ক্ষেত্রে।


তার প্রশ্ন—“কেন আমরা ভান করছি যে আমাদের কোনো বিকল্প নেই? কেন আমরা নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ সীমাবদ্ধ করছি?”


চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশের অর্থনীতির ‘প্রবেশদ্বার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বা সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই রুটিন কাজ নয়; বরং এগুলো এমন কৌশলগত অঙ্গীকার, যা একটি অনির্বাচিত সরকারের নেওয়ার কথা নয়।


তিনি অভিযোগ করেন—জাতীয় সম্পদ ঘিরে সিদ্ধান্তগুলোতে ‘জনআলোচনাকে ঝামেলা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে, আর যুক্তিসঙ্গত উদ্বেগকে ‘অনিবার্যতার’ নামে পাশ কাটানো হচ্ছে।


তারেক রহমান স্পষ্ট করে লিখেছেন—“এটি কোনো ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়; বরং জাতীয় প্রতিষ্ঠান ও নীতিকে সুরক্ষার প্রশ্ন। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে সেই সরকারই, যার জনগণের কাছে জবাবদিহি আছে।” তার দাবি—বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ ও বন্দর ব্যবস্থাপনা জরুরি হলেও সিদ্ধান্তগুলো একটি বৈধ, নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে হওয়া প্রয়োজন।


পোস্টের শেষ অংশে তিনি লেখেন—“এ কারণেই অনেকে তাকিয়ে আছেন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের দিকে। কারণ এটাই জনগণের মত প্রকাশ, নির্বাচনের অধিকার এবং ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ নীতিকে পুনর্ব্যক্ত করার সময়।”



Post Top Ad

Responsive Ads Here