
উড়ালসড়ক থেকে গাড়ি পড়ে পথচারী নিহত
মো: নাজমুল হোসেন ইমন, স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার নিমতলা এলাকায় ওয়াসিম আকরাম উড়ালসড়ক থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায় টয়োটা হ্যারিয়ার ব্র্যান্ডের একটি প্রাইভেট কার।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন সাইকেল আরোহী বন্দর কর্মচারী মোহাম্মদ শফিক (৪৫)। পরে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। দুর্ঘটনার পর পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়িটি অত্যন্ত উচ্চগতিতে চলছিল। হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উড়ালসড়ক থেকে নিচে ছিটকে পড়ে দুমড়েমুচড়ে গেলে আশপাশের আরও কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত শফিককে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
দুর্ঘটনার সময় গাড়িটির স্টিয়ারিংয়ে ছিলেন ২৩ বছর বয়সী তরুণী সৈয়দা সমরাজ মাখনু। তিনি চান্দগাঁওয়ের সমদ আলী খান চৌধুরী বাড়ির বাসিন্দা সৈয়দ মঞ্জুর মোর্শেদের মেয়ে। গাড়িটির মালিক সদরঘাট পোড়া মসজিদ এলাকার বাসিন্দা ও বিসমিল্লাহ ট্রান্সপোর্টের স্বত্বাধিকারী আরিফুর রহমান। আহতদের মধ্যে তার ছেলে **মোস্তাফিজুর রহমান রায়াত (১৯)**ও রয়েছেন।
এলাকাবাসীর দাবি, উচ্চবিত্ত পরিবারের বেপরোয়া গাড়ি চালনার ভয়াবহতার আরও একটি দৃষ্টান্ত এই দুর্ঘটনা। তাদের প্রশ্ন—অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও কেন একটি ভারী প্রাইভেট কার তরুণীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল?
দুর্ঘটনায় মোট পাঁচজন আহত হন। তাদের আগ্রাবাদের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসা শেষে তারা নিহত শফিকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সঙ্গে উত্তেজনা দেখা দেয়।
আহতদের পরিচয়:মোস্তাফিজুর রহমান রায়াত (১৯),মো. ইউসা (২৩), চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা,তাহসিন মোহাম্মদ তানিম (১৮), বায়েজিদ শেরশাহ বাজার এলাকা
ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
