শিক্ষক-আন্দোলনের চরম মূল্য: আমতলীতে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন, বিপাকে হাজারো শিক্ষার্থী - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, ডিসেম্বর ০১, ২০২৫

শিক্ষক-আন্দোলনের চরম মূল্য: আমতলীতে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন, বিপাকে হাজারো শিক্ষার্থী

 

শিক্ষক-আন্দোলনের চরম মূল্য: আমতলীতে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন, বিপাকে হাজারো শিক্ষার্থী
শিক্ষক-আন্দোলনের চরম মূল্য: আমতলীতে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন, বিপাকে হাজারো শিক্ষার্থী

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা চলমান আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় আমতলী উপজেলার ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবার অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। সহকারী শিক্ষকরা ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা বর্জন করায় প্রধান শিক্ষকরা অনিয়মিতভাবে শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের মৌখিক পরীক্ষা নেন। এতে অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা ও উদ্বেগ।


জানা গেছে, দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে ৮ নভেম্বর থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। পরে ১০ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করা হলেও ১৭ দিনেও দাবি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হওয়ায় শিক্ষকরা ফের কর্মসূচিতে যোগ দেন। এর প্রভাব পড়ে আমতলীর বার্ষিক পরীক্ষার ওপর।


সোমবার ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষা বর্জন করায় তা অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রধান শিক্ষকরা বিকল্প হিসেবে শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের মৌখিক পরীক্ষা নিলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়ে বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যায়। এতে উপজেলার ২৪ হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে হতাশা।


দুপুরে আমতলী বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়—প্রধান শিক্ষক জাকির খাঁন পরীক্ষার্থীদের এক কক্ষে বসিয়ে রেখেছেন, তবে তাদের কোনো লিখিত খাতা সরবরাহ করা হয়নি।


তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জোথি, রাজদ্বীপ বিশ্বাস ও হিমাদ্রী জানান, “ইংরেজি পরীক্ষা হবে শুনে এসেছিলাম। কিন্তু শিক্ষকরা পরীক্ষা নেননি। পরে কয়েকজনকে শারীরিক শিক্ষার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।”


অভিভাবক মালামনি বলেন, “শিক্ষকরা পরীক্ষা বর্জন করায় সন্তানদের ইংরেজি পরীক্ষা হয়নি। এতে আমরা উদ্বিগ্ন।”


আঙ্গুলকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলাম লিটন জানান, “সরকার দাবি পূরণ না করায় সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষা বর্জন করেছেন। আমরা তাদের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন দিয়ে পরীক্ষা নেইনি। সরকার দাবি মেনে নিলে প্রয়োজনে বন্ধের মধ্যেও পরীক্ষা নেওয়া হবে।”


আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও চাওড়া পাতাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “উপজেলার ১৫২টি বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। সহকারী শিক্ষকরা বর্জন করায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।”


আমতলী বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির খাঁন জানান, “সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।”


এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সফিউল আলম দাবি করেন,“বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।” তবে কোন বিষয় পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে—এ প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান।



Post Top Ad

Responsive Ads Here