![]() |
| শাটডাউন কর্মসূচিতে আমতলীর ১৫২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা |
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে চলমান শাটডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরগুনার আমতলী উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন সহকারী শিক্ষকরা। ফলে বুধবার চতুর্থ দিনের মতো বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
উপজেলার ১৫২টি বিদ্যালয়ে প্রায় ২৪ হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থীর পরীক্ষা ব্যাহত হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম হতাশা ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, সহকারী শিক্ষকরা গত ৮ নভেম্বর থেকে দেশে দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। পরে ১০ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে কর্মসূচি সাময়িক প্রত্যাহার করা হলেও ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও দাবি বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় শিক্ষকরা পুনরায় শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেন।
এদিকে সোমবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হলেও শিক্ষকরা পরীক্ষা বর্জন করেছেন। বুধবার কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সব বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষকরা।
স্থানীয় বিদ্যালয়গুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুল মাঠে পরীক্ষা দিতে এসে তালা দেওয়া দেখে শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। অনেক স্থানে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে তালা ভেঙেছেন বলেও জানা গেছে।
আমতলী একে হাই-সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী এনামুল, চাঁদনী ও শাহারা বলেন, “শিক্ষকরা তালা দিয়েছেন, তাই পরীক্ষা দিতে পারিনি।”
অভিভাবক রিপন মুন্সি বলেন, “শিক্ষকরা দাবি আদায়ে তালা ঝুলিয়েছেন। আমার মেয়েও পরীক্ষা দিতে না পেরে বাড়ি ফিরে এসেছে।”
আঙ্গুলকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলাম লিটন বলেন, “সহকারী শিক্ষকরা শাটডাউন পালন করায় আমরা পরীক্ষা নিতে পারছি না।”
আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও চাওড়া পাতাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “আমার বিদ্যালয়ের ১০ জন সহকারী শিক্ষক তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। আমি নিরুপায় হয়ে বাইরে বসে আছি।”
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও একে হাই-সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম জিল্লুর রহমান বলেন, “সকালে এসে দেখি নতুন তালা ঝুলছে। পরে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা তালা ভেঙেছেন, কিন্তু সহকারী শিক্ষকরা কেউ উপস্থিত হননি।”
শিক্ষকদের শাটডাউন কর্মসূচিতে উপজেলার সব স্কুল বন্ধ থাকার কারণে পরীক্ষাব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

