সরকারের আশ্বাসে গতকাল আন্দোলন এক মাস স্থগিত করলেও সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আবারও আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আগের মতো আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে ঐক্যবদ্ধ ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার
সন্ধ্যায় ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে
‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান এ
ঘোষণা দেন।
গতকাল
সংসদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলায় এবং মঙ্গলবার
সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী ‘বাজেটের আগে কোটা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া সম্ভব নয়’-
এমন ঘোষণা দেয়ায় ফের উত্তেজিত হয়ে পড়েন কোটা সংস্কারের আন্দোলনে নামা
শিক্ষার্থীরা।
রাশেদ
খান বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর
বক্তব্যের প্রতিবাদে তারা ফের সমন্বিত আন্দোলনে নেমেছেন। আগামীকাল থেকে
সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেওয়া
হয়েছে।
ছাত্রদের
মধ্যে কোনো বিভেদ নাই, জানিয়ে রাশেদ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপ নাই,
আমরা সবাই এক, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কেউ কিছু বলবেন না।’
এর
আগে মঙ্গলবার সকালে কমিটির নেতারা বিকেল ৫টার মধ্যে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য
প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় বিকেল ৫টার পর তারা ফের আন্দোলনে যাবেন
বলে ঘোষণা দেন।
এদিকে কর্মসূচি
অব্যাহত রাখার ঘোষণা আসতেই হাজার হাজার শিক্ষার্থী ফের রাজু ভাস্কর্যের
সামনে জড়ো হতে থাকেন। মিছিল আর স্লোগানে তারা গোটা ক্যাম্পাস মুখরিত করে
রেখেছেন। এ সময় তারা মতিয়া চৌধুরীর নামে আপত্তিকর স্লোগান দেয়।
এর
আগে গতকাল সোমবার বিকেলে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ১৯
সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বেঠক শেষে তারা আগামী ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন। তবে গতকাল
রাতেই ওই ঘোষণা প্রত্যাহার করে আন্দোলনকারীদের একাংশ বিক্ষোভ চালিয়ে যান।
আজ
সকাল থেকে আন্দোলনকারীরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। ‘বাংলাদেশ সাধারণ
ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র বাইরে আরও দুটি পক্ষ তৈরি হয়। আজকের ঘোষণার
মধ্যদিয়ে এই বিভক্তির অবসান ঘটল।