সময় ডেস্কঃ
ব্রিটিশ শাসন আমলের সমাপ্তির দিকে তখনও জমিদারী প্রজাতন্ত্র আইন রহিত হয়নি। জনশ্রুতির মতে এ এলাকায় ব্রিটিশদের নিয়োজিত জমিদারের পেয়াদা ছিল মকিম মিয়া। স্বাধীনচেতা মকিম ছিল তিতুমীর এর ভাবস্বাগরেদ। তারই নির্দেশে জমিদারদের খাজনা না দেওয়ার জন্য উদ্ধুদ্ব করেন। ফলে সংশ্লিষ্ট জমিদার মকিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হয় বন্দুক যুদ্ধ। মকিম মিয়া নিহত হয়। তার অন্যান্য অনুসারীদের দেশত্যাগ করতে বাধ্য করে। এসময় ব্রিটিশ সরকার এই এলাকায় একজন ব্রিটিশ ভদ্রলোককে দায়িত্ব দেন এলাকার শাসনভারের। পরবর্তীতে তার অনুগতদের চর পত্তন দেয়। কথিত মতে চরের মধ্যে একজন ভদ্রলোক (ঐ ব্রিটিশ নাগরিক) বসবাস করায় তখন এলাকার নাম করন করা হয় চরভদ্রাসন। ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে পাকিস্তান রাষ্ট্র ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট স্বাধীনতা প্রাপ্ত হয়। তৎপরবর্তীতে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে 'রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০' প্রবৃত্ত হলে জমিদারশ্রেণি বিলুপ্ত হয় এবং প্রজাদের কাছে জমি হস্তান্তর করা হয়। এলাকাটি ফরিদপুর জেলাধীন সদর মহকুমার অন্তভূক্ত থাকে। চরভদ্রাসন উপজেলার গোপালপুর সংলগ্ন খাসের হাটে পুলিশ স্টেশন তথা প্রশাসনিক কেন্দ্র বিন্দু ছিল। ১৯৫৪ সালে উক্ত এলাকা পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে ভেঙ্গে গেলে বর্তমানে স্থাপিত জায়গায় চরভদ্রাসন হাট প্রতিষ্ঠা হয়। তখন পুলিশ স্টেশন চরহাজিগঞ্জ স্থানান্তরিত হয়। এমডি ও জনাব এস,এম জয়নাল আবেদীন ১৯৬৮ সালে ইউটিডিসি চরভদ্রাসন বাজারের উত্তর দক্ষিণে প্রতিষ্ঠা করেন একই বছর চরভদ্রাসন আইয়ুব কলেজ বতমানে অবস্থিত চরভদ্রাসন পাইলট হাই স্কুলের একটি কক্ষে স্থাপন করেন। পরবর্তীতে হেলথ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৬ সালে চরহাজিগঞ্জ থেকে পুলিশ স্টেশন স্থানান্তরিত হয়। ১৯৮৩ সালে চরভদ্রাসন উপজেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। সকল বিভাগ সেটআপ হয়। ১ম উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মো: আবুল হোসেন এবং ইউএনও (তৎকালীন UNO বা উপজেলা নির্বাহি অফিসার) জনাব কে এম নুরুল হুদা, যিনি বর্তমানে (২০১৭ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে চরভদ্রাসন উপজেলায় সকল বিভাগের কার্যক্রম চলছে। ৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে উপজেলাটি গঠিত। যথা- চরহরিরামপুর, চরঝাউকান্দা, চরভদ্রাসন সদর ও গাজিরটেক ইউনিয়ন।
সকল তথ্য সংগৃহীত তাই কোথাও কোন ভূল থাকলে আমাদের জানাবেন আমরা সংশোধন করব।
