বিনোদন ডেস্ক-
‘এই জীবনে আমি ১৯বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হয়েছি! কারণ আমি সবসময় বঙ্গবন্ধুর কথা বলি। আমিও স্পষ্ট বলেছি, যদি পুরস্কার না পাওয়ার পেছনে এটাই মূল কারণ হয়- তো আমি তার কথা বারবার বলবো, পুরস্কার চাই না।
রোববার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বাংলা চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার হাত থেকে আজীবন সম্মাননা পদক গ্রহণের পর এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন ফারুক।
‘এই জীবনে আমি ১৯বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হয়েছি! কারণ আমি সবসময় বঙ্গবন্ধুর কথা বলি। আমিও স্পষ্ট বলেছি, যদি পুরস্কার না পাওয়ার পেছনে এটাই মূল কারণ হয়- তো আমি তার কথা বারবার বলবো, পুরস্কার চাই না।
রোববার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বাংলা চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার হাত থেকে আজীবন সম্মাননা পদক গ্রহণের পর এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন ফারুক।
তিনি বলেন, ‘আজীবন সম্মাননা এমনিতে পাওয়া যায় না। এর জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়। সারা জীবনের অনেক কাজের বিনিময়ে এ পুরস্কার অর্জন করা যায়। আজ আমি যে সম্মান পেয়েছি তা আমার একার নয়। আপনাদের সবার। আমার পুরস্কারটি আপনাদের উৎসর্গ করলাম।’
এসময় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি মনে করে ‘সুজন সখী’খ্যাত কিংবদন্তি এই অভিনেতা বলেন, ‘আজকের এই বিশেষ দিনটিতে বারবার শুধু একজনের নাম মনে পড়ছে। তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই মহামানব ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদ থেকে এ দেশে চলচ্চিত্র বানাবার যে আইন পাস করিয়ে আনেন। এরপর থেকেই শুরু হয় আমাদের চলচ্চিত্রের পথচলা’।
নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের অনুরোধ করে ফারুক বলেন, ‘আপনারা বঙ্গবন্ধুর ছবির দিকে তাকাবেন, তার চোখ দু’টি দেখবেন। কারণ ওই চোখ দু’টি কথা কয়। ওই চোখ দু’টিই বলে, ‘আরে তোরাই তো আমার ছেলে, তোরাই তো আমার মেয়ে। তোরাই তো এই দেশটিকে সোনার বাংলা বানাবি’।’
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই আসরে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর মধ্য থেকে সেরা কাজের জন্য ২৫টি বিভাগে মোট ৩১জন বিজয়ীর হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ক্রেস্ট, মেডেল ও চেক তুলে দেন তিনি। এ সময় তার দুই পাশে ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
এবারের আসরে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা ও ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত অভিনেতা ফারুক। পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ফেরদৌস ও পূর্ণিমা।

