টাঙ্গাইল শহরে কুমুদিনী কলেজ মোড়ে একটি পুলিশবাহী মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনে তিনজন নিহত হয়েছে। আর এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহত হয়েছে। আহতদের টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে।
টাঙ্গাইল মডেল থানার (ওসি) সায়েদুর রহমান এবং ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, রাজশাহী থেকে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওগামী একটি পুলিশবাহী মাইক্রোবাস নারায়ণগঞ্জ থেকে আসামি ধরতে রাজশাহী যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড সিএনজি পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও এর উদ্দেশ্যে রওনা হলে শহরের কুমুদিনী কলেজ মোড় সড়কে স্পিড ব্রেকারে প্রচন্ড ঝাঁকুনি লাগে। এ সময় মাক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে মুর্হুতের মধ্যেই গাড়ীতে আগুন লেগে যায়। এ সময় গাড়ীতে থাকা নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও চৌধুরীবাড়ী এলাকার অপহৃত স্কুলছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বর্না (১৯), তার চাচাতো ভাই ফারুক (৪২) এবং মামা সিরাজুল ইসলাম (৫৫) আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় গাড়ীতে থাকা নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানার এসআই তানভীর (৩৩), এএসআই হাবিব (৩০), পুলিশ কনস্টেবল আজাহার (৪৫) ও মাইক্রোবাস চালক মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া এলাকার আকতারকে (৩৫) উদ্ধার করে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাইক্রোবাসটিতে চালকসহ মোট ৭ জন ছিল।
আহত এসআই তানভীর আহমেদ জানান, নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানা থেকে মাইক্রোবাস নিয়ে তারা কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ অপহৃত স্কুল ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বর্নাকে উদ্ধার করতে রাজশাহী যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড সিএনজি পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও এর উদ্দেশ্যে রওনা হলে শহরের কুমুদিনী কলেজ মোড় সড়কে স্পিড ব্রেকারে প্রচন্ড ঝাকুনি লাগায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।