কুতুব উদ্দিন রাজু,চট্টগ্রাম: মানবাধিকার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভা আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪ ঘটিকায় চট্টগ্রাম আইনজীবী ভবনস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার বেগম।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা অসংখ্য গুলির আঘাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ১৮ জন সদস্য নিহত হয়েছিলেন। এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল কিছু সংখ্যক বিপথগামী সেনা সদস্যের প্রত্যক্ষ মদদে। এই হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর হত্যা নয় ঘাতক দের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের অস্তিত্বকে বিপন্ন করা।বাঙালি জাতীয়তাবাদকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলা। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী দের উদ্দেশ্যে ছিল আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে বাংলার মাটি থেকে চিরদিনের জন্য কবর রচনা করা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। এ মহাদুর্যোগ থেকে প্রাণ কর্তা হিসেবে উপস্থিত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনার অসাধারন রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সুদৃঢ় মনোবল ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। শেখ হাসিনা কঠোর হস্তে সমস্ত সমস্যা মোকাবেলা করে বাংলাদেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতিকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করেন। বাংলাদেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক দিক থেকে ধীরে ধীরে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশসমুহের কাতারে শামিল হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আর জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে এবং সকল ষড়যন্ত্রকারীর অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর জিনবোধি ভিক্ষু, সংগঠনের সদস্য স ম জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন এডভোকেট লুৎফুর নাহার, অ্যাডভোকেট সুভাষ বড়ুয়া,এড.শরীফা নার্গিস কনা, প্রকৌশলী সঞ্চয় কুমার দাস, ডা. মোঃ জামাল উদ্দিন, সিআর বিধান বড়ুয়া, মোঃ কুতুব উদ্দিন রাজু, রাজীব চক্রবর্তী, সেহেরিন আফসানা, ডা. আইরিন সুলতানা প্রমুখ।