হাফিজুর রহমান.ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি -
টাঙ্গাইলের বাসের ভেতর এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত বাসের সুপারভাইজার মো. এরশাদের (৪০) ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আশিকুজ্জামান উভয় পক্ষের শুনানী শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে গতকাল সোমবার আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।রিমান্ডকৃত মো. এরশাদ কালিহাতী উপজেলার বেনুকুর্শিয়া এলাকার মৃত লাল চাঁনের ছেলে।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, সোমবার পুলিশ গ্রেফতারকৃত সুপারভাইজাকে ৫দিনের রিমাÐ আবেদন করে আলাদতে হাজিরা করা হয়। পরে আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। পরে আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে শুনানি শেষে রিচারক ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে বাসের সুপারভাইজার এরশাদকে গ্রেফতার করা হয়।তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় বাসের চালক আলম খন্দকার এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে ধর্ষিত ওই নারীর বড় ভাইয়ের এক আবেদনের পেক্ষিতে গতকাল সোমবার টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশিকুজ্জামান তার ভাইয়ের জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সেতুর পুর্ব থানা বাসস্ট্যান্ডে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এক প্রতিবন্ধী নারী বাস থেকে নামছিল। এ সময় বাসস্ট্যান্ডে টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পরিবহনের চালক আলম মিয়া এবং সহকারি (হেলপাড়) নাজমুল হোসেন ওই নারীকে ফুঁসলিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে বাস থেকে নামতে দেয়নি। এরপর বাসের হেলপাড় নাজমুল গেটে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয় এবং চালক ওই নারীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীর কান্নার আওয়াজ শুনে বাসস্ট্যান্ডের লোকজন থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে টহল পুলিশ বাসের ভেতর থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ বাসের সহকারি নাজমুলকে গ্রেফতার করতে পারলেও ধর্ষক চালক আলম খন্দকার পালিয়ে যায়। পরে নাজমুল শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুজ্জামানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে বাসের চালক আলম খন্দকার ও সহকারি নাজমুলকে হোসেনকে আসামী করে গত শুক্রবার বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।