ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের ৪টি আসনে মনোনয়ন ঘোষনা করেছে আওয়ামীলীগ। এরমধ্যে তিন ও চার নিয়ে নেতকার্মিদের ভিতর উৎসাহ দেখা দিলেও অপর দুটি আসন এক ও দুই নিয়ে নেতাকর্মিরা কার্যত ঝিমিয়ে পড়েছে। এর ভিতর ফরিদপু-দুই আসনে জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপির আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়নের দাবীতে রাস্তা অবরোধ ও ট্রায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থকরা।
কারন হিসেবে জানাযায় ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসন থেকে এবার মনোনয়ন দেয়া হয়নি সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে। তার আসনে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে জোটের প্রার্থী জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফা আমির ফয়সালকে। তিনি ফরিদপুর চার আসন থেকে মনোনয়ন চেয়ে আসছিলেন এর আগে। এদিকে আওয়ামীলীগ থেকে সৈয়দা সাজেদা চৌধূরী মনোনয়ন পাচ্ছেন না বলে খবর ছড়িয়ে পড়লে রোববার সন্ধ্যায় শত শত নেতা-কর্মী ও সমর্থক নগরকান্দার ঐতিহাসিক জয়বাংলার মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় তারা ঢাকা-গোপালগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে উভয় প্রান্তে কয়েকশত যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
রাত আটটার দিকে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু ঘটনাস্থলে পৌছালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আওয়ামীলীগ থেকে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়ার জোর দাবী জানানো হয় অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
অপরদিকে ফরিদপুর এক আসনে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মঞ্জুর হোসেন ওরফে বুলবুলকে। তিনি এখন রূপালী ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয় নেতাকর্মিরা এ বিষয়টি একটি অন্যরকম ঘটনা হিসেবে দেখছেন। তাদের অভিমত, তিনি রাজনীতিতে একটি অপরিচিত নাম। তৃণমূলের সাথে তাঁর কোন যোগাযোগ নেই। সংসদীয় আসনটি আ.লীগের ঘাঁটি হলেও দলীয় মনোনয়ন পেলে এত অল্প সময়ে তিনি কতটা সফল হবেন তা প্রশ্নসাপেক্ষ। পাশাপাশি এ আসনে বিএনপি থেকে শাহ জাফরের মত একজন জাদরেল প্রার্থী যেখানে রয়েছে। এর ফলে মনোনয়ন বঞ্চিতদের নানা ধরনের নেতিবাচক কাজের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ারও অবকাশ রয়েছে।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পিকুল মীরদাহ বলেন, উনি (মঞ্জুর) একজন অপরিচিত মানুষ। তাকে মনোনয়ন দেয়া হলো এখন নেতা কর্মীরা কি ভাগে তাকে গ্রহণ করবে তা বুঝে উঠতে পারছি না। এ সিদ্ধান্ত ভালো হবে না। তিনি (মঞ্জুর) একেবারে অনকোড়া নতুন মানুষ, যাকে এলাকার মানুষ চেনেই না তেমন ভাবে।