সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর থেকে :
ফরিদপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তরুছায়ার সদস্যরা। রবিবার ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের মালাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
সারা দেশের মতো ফরিদপুরের কানাইপুরেও চলতি বোরো মৌসুমে ধান কাটার দিন মজুর সঙ্কট ও পাশাপাশি বাড়তি মজুরির চাহিদা মেটাতে বিপাকে পড়েছেন কানাইপুরের মালাঙ্গা গ্রামের দুই কৃষক টুকু মিয়া ও ফজলু শেখ। এমনি সময় ওই দুই কৃষকের ধান কাটতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেন।
রবিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগ দেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফকির মো. সুজায়েত হোসেনসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও তরুছায়ার সভাপতি খালেদ মাহমুদ সজিবসহ তরুছায়ার অন্য সদস্যরা।
রবিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগ দেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফকির মো. সুজায়েত হোসেনসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও তরুছায়ার সভাপতি খালেদ মাহমুদ সজিবসহ তরুছায়ার অন্য সদস্যরা।
ওই গ্রামের কৃষক টুকু মিয়া জানান, দিনমজুর সঙ্কট ও বাড়তি মজুরির কারণে আমি মাঠে ধান পেকে গেলেও কাটতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত আমার স্কুল পড়–য়া ছেলে অর্ককে নিয়ে ১৫ কাঠা জমির ধান কাটা শুরু করি। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এসে ধান কাটতে আমাদের সাথে যোগ দেন। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও তরুছায়ার সদস্যরা ধান কাটতে সহযোগিতা করেন। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফকির মোঃ সুজায়েত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শোভন ভাই ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী ভাইয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে আমরা আজকে কৃষকের পাকা ধান কাটতে মাঠে নেমেছি। আমি আমার ভালবাসার সংগঠনের প্রত্যেক নেতা কর্মী সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষের উদ্দেশ্যে উদাত্ত আহবান থাকবে, আজকে থেকে দৃঢ প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামুন, ফরিদপুর জেলা সহ আমাদের বাংলাদেশের অসহায় সকল কৃষক ভাইদের পাশে এসে দাঁডান।
তরুছায়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জনাব খালিদ মাহমুদ সজীব বলেন, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা না হলে সরকারের এই মহতী উদ্যোগের সুফল পাবে না কৃষক। সেটা নিশ্চিত করা আশু প্রয়োজন। এছাড়া তরুছায়ার সদস্যরা কৃষকের ধান কেটে দেওয়ার কৃষকের পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাবে।
এ ব্যাপারে কানাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, আমিও কৃষকের সন্তান। তাই ওদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি নিজে গর্বিত।