ফরিদপুরে কাজের জন্য বিদেশে,লাশ হয়ে ফিরলেন তিন যুবক - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Sunday, September 15, 2019

ফরিদপুরে কাজের জন্য বিদেশে,লাশ হয়ে ফিরলেন তিন যুবক

নিউজ ডেস্ক-
ভালো বেতনে চাকরি পেতে পরিবার আত্মীয়-স্বজনদের রেখে দুই যুবক বিদেশে যাত্রা করলেও অবশেষে ফিরে এসেছেন লাশ হয়ে।

অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত দুই যুবকের লাশ রোববার সকালে ফরিদপুরে এসে পৌঁছেছে।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ডোমরাকান্দি গ্রামের বেলাল মোল্যার ছেলে সায়েম মোল্যা ও সালথার মাঝারদিয়া ইউপির মাঝারদিয়া গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে সেলিম মিয়া। 

নিহতদের মধ্যে ফরিদপুরের এই দুইজন ছাড়াও সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে সানি নামে আরেক যুবক রয়েছেন যার মৃত্যুও একই সঙ্গে হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সানির মরদেহ এখনো ফরিদপুরে এসে পৌঁছেনি।

নিহতদের পারিবারিক সূত্র বলছে, ৮০ হাজার টাকা বেতনে কাজ দেয়ার প্রলোভনে তাদেরকে ইতালি নেয়ার কথা ছিল। গত ১০ মে তারা বাংলাদেশ হতে প্রথমে লিবিয়া যান। এরপর লিবিয়া থেকে প্রথমে একটি ট্রলার যোগে ও পরে একটি ছোট নৌকায় করে ইতালি যাচ্ছিলেন। সাত লাখ টাকা চুক্তিতে ফরিদপুরের ডোমরাকান্দির ইতালি প্রবাসী মফিজুর রহমানের মাধ্যমে তারা এই কাজের সন্ধান পান।

নিহত সায়েমের বোন সুমাইয়া বলেন, গত ৩ জুন তার ভাইয়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়। একটি নৌকায় করে তারা সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি রওনা হয়েছিলেন।

‘আমাদের নৌকা ফুটো করে দিয়েছে। এটিই হয়তো শেষ কথা। আমাদের দেখতে মন চাইলে ছবি দেখ।’ সাগরে সেই নৌকা থেকে মোবাইলে এমনটি জানিয়েছিলেন সায়েম।

এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তার বোন। এটিই ছিল শেষ কথা। এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি সায়েমের সঙ্গে। পরে বিদেশে থাকা অন্যদের মাধ্যমে ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ পান তারা।

সায়েমের পিতা বিল্লাল মোল্লা বলেন, আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের খোঁজ নিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হই। অতঃপর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই দুইজনের লাশ ফেরত আনা হয়। লাশের সঙ্গে আগতদের বরাদ দিয়ে তিনি আরো জানান, আগামী সপ্তাহের মধ্যে সানির লাশ দেশে আসতে পারে।

এদিকে সানির বাবা মফিজ মাত্ব্বুর দ্রুত তার সন্তানের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।

ফরিদপুর জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ষষ্টী পদ রায় জানান, নিহতরা জনশক্তি কার্যালয়ের মাধ্যমে যাননি বিধায় তাদের বিষয়ে আমাদের অফিসে কোনো রেকর্ড নেই। ফলে তাদের লাশ আনার বিষয়েও আমাদের জানা নেই।

ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা জানান, লাশ আসার পর প্রশাসনকে অবহিত করে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

No comments: