ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের সালথায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির চৌধুরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের সমর্থকদের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫০জন আহত হয়েছে।
আজ বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হামলার সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির চৌধুরীর সালথা বাজারের ২০টি দোকান ঘড় ও তাদের সমর্থকদের বাড়ী ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ ও র্যাব গিয়ে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
স্থানীয়রা জানান, আগামীকাল শনিবার সালথা উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিলো। ওই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বড় ছেলে আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু ও তার অনুজ সাহাদাব আকবর লাবুর দলীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সম্মেলন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি বন্ধ করে। এ ঘটনায় উপনেতার ছোট ছেলে লাবুর সমর্থকরা সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ স্থানীয় দলীয় সমর্থকদের নিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিকেলে কাউলিকান্দা স্কুল মাঠে একটি সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। এসময় মাঝ পথে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবারের সম্মেলনের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী সাব্বির চৌধুরী একটি মিছিল নিয়ে মিছিলে যোগ দেয়। মিছিলটি উপজেলা চত্ত¡রে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান এবারের সম্মেলনের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী ওয়াদুদ মাতুব্বর ও এবারের সম্মেলনের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী সাব্বির চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষ বেধে যায়। এতে দুপক্ষের অনুসারীরা বল্লম, সরকি, লাঠি ও দেশীয় আস্ত্রে ¯্রজ্জিত হয়ে একে অপরের উপর হামলা শুরু করে।
এসময় লাবুর পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান এবারের সম্মেলনের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর, সংসদ উপনেতার ব্যক্তিগত সচিব সফিউদ্দিন, গোট্টির চেয়ারম্যান লাভলু, সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান অহিদসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলো। অপরদিকে বাবলুর পক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবারের সম্মেলনের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী সাব্বির চৌধুরীসহ প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় দুগ্রুপের কমপক্ষে ৫০জন আহত হয়েছে। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির চৌধুরীর সালথা বাজারের ২০টি দোকান ঘড় ও তাদের সমর্থকদের বাড়ী ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় বলে জানান সাব্বির চৌধুরী।
অপরদিকে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরকে তার ব্যক্তিগত নম্বর ০১৭২৬৩২২৩৩১ বার বার কল করলে তিনি ফোনটি রিসিভ না করে কেটে দেন।
এ ব্যাপারে সালথা ও নগরকান্দা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাব গিয়ে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমান এলাকা শান্ত আছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে তিনি জানান। তবে এখনও কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি বলে তিনে জানান।